চীন আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের চোখে একটি আদর্শ দেশ: কম্বোডিয়ান ছাত্র হাই সুসিন
যদিও তিনি বেইজিং ইউনিভার্সিটি অফ কেমিক্যাল টেকনোলজিতে অর্ধেক বছরেরও কম সময় ধরে আছেন; তারপরও তিনি ছাত্রদের বন্ধুত্ব, উত্সাহ এবং সমৃদ্ধি ও বৈচিত্র্যময় শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতায় খুব সন্তুষ্ট। তিনি বলেন,
“আমি আমার চীনা বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনা করতে পছন্দ করি, কারণ আমি একটি বিখ্যাত চীনা উক্তি শিখেছি, ‘যুবক শক্তিশালী হলে একটি দেশ শক্তিশালী হবে’; এবং আমি চীনা ভবিষ্যতের স্তম্ভদের সঙ্গে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে তাদের
নিজ নিজ দেশের উন্নয়নের কঠোর পরিশ্রম নিয়ে গর্ব করার মতো বিষয়।”
এ বছর চীন এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অভিন্ন লক্ষ্যের চীন-কম্বোডিয়া কমিউনিটির নির্মাণ ফলপ্রসূ ফলাফল অর্জন করেন। হাই সু সিন বলেন, তিনি আশা করেন, চীন-কম্বোডিয়া বিনিময় ও সহযোগিতা উচ্চতর স্তরে উন্নত করতে পারে এবং তিনি আশা করেন, চীনা বন্ধুরা তার মাতৃভূমিতে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, ‘চীন ও বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল, বিশেষ করে মহামারীর সময়ে, চীন অনেক দেশকে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করেছিল। চীন-কম্বোডিয়া অবাধ বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর, কম্বোডিয়ায় চীনের বিনিয়োগও অনেক বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি ও কৃষি ইত্যাদি। আমি আরও বেশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি এবং আমি আরও আশা করি যে, আরও বেশি চীনা মানুষ
ভ্রমণ করবে এবং আমাদের অ্যাংকর ওয়াট এবং সুন্দর সৈকত দেখতে আসবে।”
ভবিষ্যত সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে হাই সু সিন বলেন, স্নাতক শেষ করার পর তিনি চীনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে এবং চীনা যুবকদের সঙ্গে দুই দেশের বন্ধুত্বের খাতে অবদান রাখার আশা করেন। তিনি বলেন,
‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাসের পরে, আমি স্নাতকোত্তরের পরিকল্পনা করি। এর পর, আমি এখানে যে পেশাদার জ্ঞান শিখি তা আমার দেশে ফিরিয়ে নিতে চাই। আমার নিজের প্রচেষ্টায় আমার দেশকে উন্নতির দিকে চালিত করব এবং চীন-কম্বোডিয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতায় অবদান রাখব।’