মহাপ্রাচীরের কোলে গ্রামীণ শিক্ষকদের প্রচেষ্টা
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষক ইয়াং চিন লু প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হন এবং তখন স্কুলের প্রেসিডেন্ট শিক্ষক চাংকে স্কুলে নিয়োগের পরামর্শ দেন। এভাবে তাঁরা পরস্পরের সাথে আবার মিলিত হন। স্ত্রী চাং বলেন, যদিও স্কুলের পরিবেশ ও অবকাঠামো জেলার মাধ্যমিক স্কুলের চেয়ে দুর্বল, তবে পরিবারের সবাই একসাথে থাকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
শিক্ষক ইয়াং গ্রামীণ স্কুলের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, লিচিয়াইয়ু প্রাথমিক স্কুল গত শতাব্দীর ৩০-এর দশকে নির্মিত হয়। এটি স্থানীয় গ্রামের একটি পুরনো স্কুল। যদিও বহুবারের মতো মেরামত করা হয়েছে, তবে স্কুলের ক্লাসরুমসহ বিভিন্ন অবকাঠামোব্যবস্থা দুর্বল।
২০১৫ সালে স্কুল নতুন করে সাজানো হয়। এর আগে ক্লাসরুম ও খেলার মাঠ ছিল অনেক পুরনো। শীতকালে রুমে কোনো হিটিং ব্যবস্থা ছিল না, শুধু কয়লা ও কাঠ জ্বালিয়ে ক্লাসরুম একটু গরম রাখার চেষ্টা করা হতো।
বহু বছর আগে যখন কোনো শিক্ষক বাইরে থেকে আসতেন, তখন তাদের কেউ কেউ এক বছর, এমনকি কেউ কেউ এক মাস থেকেই চলে যেতেন। ফলে লিচিয়াইয়ু প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের অভাব লেগেই থাকো। বর্তমানে স্কুলের প্রেসিডেন্টসহ মোট ৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের ওপর কাজের চাপ অনেক বেশি। শিক্ষিকা চাং হাই ইয়ান তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসের প্রধান শিক্ষক। তিনি চীনা ভাষা, গণিত, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি স্কুলের গ্রন্থাগার দেখাশোনার দায়িত্বও পালন করেন।
নিজেদের জীবন সম্পর্কে শিক্ষক ইয়াং বলেন, ‘আমাদের বাচ্চা মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির পর,আমরা স্কুলের ২০ কিলোমিটার দূরে জেলায় বসবাস করে আসছি। তবে, স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা করার জন্য, প্রতি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ডিম, শাকসবজি ও খাদ্যশস্য নিয়ে স্কুলে থাকি। শুধু সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে ফিরে যাই।’