বাংলা

হংকংয়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চীনা সংস্কৃতি এবং শিল্পের সৌন্দর্য অনুভব করতে হংকং রাজপ্রাসাদে গিয়েছে

CMGPublished: 2022-09-04 19:15:40
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বামিয়ান গ্রেট বৌদ্ধ সাইট ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের কর্মী আবদুল্লা বাহির হের্মাদ বলেন, চীনা বন্ধুদের অর্থায়নে এই কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। এ কেন্দ্র পুরাকীর্তি সুরক্ষা কর্মীদের জন্য একটি কাজের এবং বিশ্রামের জায়গা সরবরাহ করেছে, এবং রক্ষীদের রাতের বলায় কাজ করার পরিবেশ তৈরি করেছে। তারা দিনরাত এই বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে পারছে।

হের্মাদ উল্লেখ করেন, দুটো কেন্দ্র নির্মাণকারী চীনা বন্ধুরা হলো বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়, লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েনচৌ বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টস এবং হংকং ফ্রেন্ডস অব দুংহুয়াং তহবিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার তরুণ বিশেষজ্ঞ।

বামিয়ান প্রদেশের সংস্কৃতি ও তথ্য বিভাগের প্রধান মৌলবি সেবা রাহমান মোহাম্মদী বলেন, “চীনা বন্ধুরা আমাদের প্রকৃত সাহায্য দিয়েছে, এবং আমরা তাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।”

বামিয়ান উপত্যকাটি মধ্য আফগানিস্তানের বামিয়ান শহরের উত্তরাঞ্চলের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় অবস্থিত। শহরটি একসময় রেশম পথের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র ছিল। বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতি এখানে ছড়িয়ে পড়েছে। উপত্যকায় প্রায় ৩ হাজারটি বড় এবং ছোট বৌদ্ধ গুহা রয়েছে। ২০০৩ সালে একে সামগ্রিকভাবে ইউনেস্কোর একটি বিশ্ব বিপন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এটি আফগানিস্তানের দু’টি বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি। বিশ্ববিখ্যাত দু’টি বামিয়ান বড় বৌদ্ধ সাইট এই উপত্যকায় অবস্থিত।

চীনের থাং রাজবংশামলের পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নের জন্য পশ্চিম দিকে ভ্রমণ করেন এবং বামিয়ানের পাশ দিয়ে যান। তাঁর লেখায় তিনি বামিয়ানের বৌদ্ধের মহিমা ও সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন। গত বছর চীনা বিশেষজ্ঞরা বামিয়ান উপত্যকায় এসেছিলেন এবং হিউয়েন সাংয়ের পশ্চিমমুখী ভ্রমণের পথ ধরে বামিয়ান গুহার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার কাজে অর্থায়ন ও নির্দেশনা দিয়েছেন।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn