‘গ্র্যান্ড ক্যানেল আমাদের পূর্বপুরুষদের আমাদের রেখে যাওয়া মূল্যবান ঐতিহ্য’
সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায়, বিভিন্ন সুরক্ষা কাজের সামগ্রিক পরিকল্পনায় সুশৃঙ্খল অগ্রগতি হয়েছে। যেমন- ঐতিহ্য সংরক্ষণাগার ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গ্র্যান্ড ক্যানেল রক্ষার জন্য নিয়মকানুন তৈরি এবং ‘গ্র্যান্ড ক্যানেল সংস্কৃতির সুরক্ষা, উত্তরাধিকার ও ব্যবহার-বিষয়ক উন্নয়ন কার্যক্রম’ জারি করা।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইয়াংচৌ খাল সান ওয়ান প্রাকৃতিক সংস্কৃতি পার্কে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি গ্র্যান্ড ক্যানেলের সাংস্কৃতিক সুরক্ষা ও উত্তরাধিকার এবং ব্যবহারের অর্জন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং উল্লেখ করেন, “হাজার বছর ধরে, গ্র্যান্ড ক্যানেল দু’পারের মানুষের জন্য সমৃদ্ধি ও সুখ এনে দিয়েছে। আশা করি, সবাই মিলে গ্র্যান্ড ক্যানেল রক্ষায় কাজ করবেন। যাতে গ্র্যান্ড ক্যানেল সর্বদা মানুষের উপকারে আসে।”
তিনি আরও বলেন, “গ্র্যান্ড ক্যানেলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার কাজ, বরাবর বিখ্যাত শহর ও গ্রাম সুরক্ষা ও পুনরুদ্ধার, সাংস্কৃতিক পর্যটনের সমন্বিত উন্নয়ন ও খাল পরিবহনের রূপান্তর ও উন্নতির সাথে একীভূত করা প্রয়োজন। যাতে গ্র্যান্ড ক্যানেল বরাবর অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা যায়।”
জুলাই মাসে গ্রীষ্মের সবচেয়ে ব্যস্ত মৌসুম শুরু হয়। গ্র্যান্ড ক্যানেল জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্ক নির্মাণের একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হিসেবে, ইয়াংচৌ গ্র্যান্ড ক্যানেল যাদুঘরে প্রতিদিন ১৫ হাজার টিকিট সংরক্ষণ করা হতো। সপ্তাহান্তে সেকেন্ডের মধ্যে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যেতো। যা প্রাচীন শহর ইয়াংচৌতে একটি নতুন সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্ক হয়ে ওঠে।