‘গ্র্যান্ড ক্যানেল আমাদের পূর্বপুরুষদের আমাদের রেখে যাওয়া মূল্যবান ঐতিহ্য’
হাজার হাজার মাইল খাল এগিয়ে গেছে। গ্র্যান্ড ক্যানেল চীনা জাতির সংগ্রাম ও সমৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে, গ্র্যান্ড ক্যানেল সময় ও স্থান অতিক্রম করে আজ পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক চিহ্ন হিসেবে, গ্র্যান্ড ক্যানেল বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০১৪ সালে, গ্র্যান্ড ক্যানেল ‘বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত হয়।
চীনের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ৫টি প্রধান জল-সম্পদ ব্যবস্থা রয়েছে। ৮টি প্রদেশ ও শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হাজার বছরের পুরানো গ্র্যান্ড ক্যানেল কীভাবে আরও মহিমান্বিতভাবে ভবিষ্যতেও প্রবাহিত হবে? চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এতে গভীরভাবে নজর দেন।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, বেইজিংয়ের থংচৌ গ্র্যান্ড ক্যানেল ফরেস্ট পার্কে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং গ্র্যান্ড ক্যানেল বরাবর প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নানা অর্জন পরিদর্শন করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, “গ্র্যান্ড ক্যানেল রক্ষা করা হলো গ্র্যান্ড ক্যানেল বরাবর অঞ্চলের অভিন্ন দায়িত্ব”, “আমাদের অতীতকে বর্তমানের কাজে ব্যবহার করা উচিত এবং গ্র্যান্ড ক্যানেলের সাথে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ গভীরভাবে খনন করা উচিত।”
চার মাস পর, সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং গ্র্যান্ড ক্যানেল সাংস্কৃতিক বেল্ট নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আমাদের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া মূল্যবান ঐতিহ্য হলো গ্র্যান্ড ক্যানেল। এটি প্রবাহিত সংস্কৃতি, আমাদের উচিত ভালোভাবে এর সুরক্ষা দেওয়া ও ব্যবহার করা।
গ্র্যান্ড ক্যানেল সাংস্কৃতিক বেল্ট নির্মাণ গবেষণালয়ের পুরাকীর্তি ও যাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব শাখার পরিচালক হ্য ইয়ুন আও বলেন, “গ্র্যান্ড ক্যানেল ‘প্রবাহিত সংস্কৃতি’ হিসেবে, শুধু সময়ের প্রবাহ নয়, এটি স্থানের একটি সম্প্রসারণও বটে। এটি ২৫০০ বছরেও বেশি সময় ধরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং প্রায় ৩ হাজার ২’শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে, খাল বরাবর শহরগুলিকে সংযুক্ত করেছে। গ্র্যান্ড ক্যানেল মানুষকে পুষ্ট করেছে এবং ইতিহাসের ঐতিহ্য লালন করেছে।”