ইরানের যুবক: আমি নিংবোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চাই
কোভিড-১৯ মহামারী প্রত্যেকের হৃদয়কে প্রভাবিত করেছে। অনেক স্বেচ্ছাসেবক মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে তাদের অবদান রেখেছে। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আসা বন্ধুরাও রয়েছে।
৩১ বছর বয়সী ইরানি যুবক ইসান ৮ বছর ধরে চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের নিংবোতে বাস করছে এবং স্থানীয় জীবনের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে গেছে। কোভিড-১৯ মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর, তিনি অনুভব করেন যে, তিনি প্রত্যেকের জন্য কিছু করতে পারেন, তাই তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কমিউনিটিতে আবেদন করেন এবং অবশেষে একটি স্থানীয় নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টিং পয়েন্টে কাজ করার সুযোগ পান।
এখানে ইসানের প্রধান কাজ হলো শৃঙ্খলা বজায় রাখা। তা ছাড়া তিনি নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার কারণে উত্পন্ন আবর্জনা পরিষ্কার করেন এবং প্রতি আধা ঘন্টা পর পর আবর্জনার ব্যাগ পরিবর্তন করেন। ইসান বলেন, বাসিন্দারা খুব সহযোগিতামূলক ছিল। মাঝেমাঝে কেউ কেউ তাকে বিদেশি হিসেবে অনেক প্রশংসা করে। তিনি বলেন,
“আমি অনেক দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ পাইনি। এবার আমি আমাদের কমিউনিটির মাধ্যমে আবেদন করেছি এবং তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিতে রাজি হয়েছে। আমি অনেক গর্বিত। স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার পর, আমি চীন সম্পর্কে আরও ভাল বোধ করি। বিশেষ করে চীনা জনগণ, চ্যচিয়াং লোকজন এবং নিংবোর লোকেরা অনেক ভাল। কারণ- যখন আমি স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করি, তারা সবসময়ই আমার প্রশংসা করে এবং আমার কাজে অনেক সমর্থন দেয়।”
ইসানের চাচা চীনে ব্যবসা করছেন। ২০১০ সালে ইসান চীনে আসেন এবং তখন থেকেই চীনের প্রতি একটি দৃঢ় আগ্রহ গড়ে ওঠে। ২০১৩ সালে তিনি কুয়াংচৌতে চীনা ভাষা অধ্যয়নের সিদ্ধান্ত নেন এবং পরে তিনি চীনে কাজ করার সুযোগও পান। ইসান বলেন-