চাকরি নেওয়ার আগে কম্পানি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে
শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা শেষ করে চাকরি নেওয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোন চাকরিতে ঢুকতে হবে, চাকরিতে ঢোকার পর কীভাবে সেখানে উন্নতি করতে হবে, ইত্যাকার নানান প্রশ্নের সঠিক উত্তর তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
চীনে মে মাস হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি অফার পাওয়ার মৌসুম। আজকাল শুধু চীনের কম্পানিগুলো শিক্ষার্থীদের চাকরির সাক্ষাত্কার নেয়, তা নয়; শিক্ষার্থীরাও চাকরির আবদেন করার আগে বিভিন্ন কম্পানি যাচাই-বাছাই করে থাকে। সেরা শিক্ষার্থীরা সাধারণত একাধিক অফার পেয়ে থাকেন। তখন তাদেরকে দেখতে হয়, কোন কম্পানিতে চাকরি করা তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।
চীনের চ্যচিয়াং প্রদেশের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী চৌ স্যু কয়েকটি কম্পানির কাছ থেকে ইন্টারভিউপত্র পান। তিনি জানান, চাকরির জন্য আবেদন করার আগেই তিনি বিভিন্ন কম্পানি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। গত বছরের জুন মাস থেকে তিনি এ কাজ শুরু করেন। সংশ্লিষ্ট কম্পানির কর্মসংস্থানের অবস্থা, মাসিক বেতন, সেখানে উন্নতির সম্ভাবনা, কোম্পানির রাঙ্কিং আর ভোগৌলিক অবস্থানসহ নানান তথ্য তিনি সংগ্রহ করেন।
সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করার পর ৬টি কম্পানিকে তিনি তার প্রিয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এবং সবশেষে তিনি সবচেয়ে ভালো কম্পানিটি বেছে নেন।
আসলে চৌ’র মতো শিক্ষার্থী আরও অনেক আছে। তারা নতুন চিন্তাভাবনা ও ধারণা নিয়ে চাকরি খুঁজতে চায়। কেবল সুবিখ্যাত ৫০০টি শক্তিশালী কোম্পানি বা ৪এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর মনোযোগ দেয় না তারা, বরং নিজের জন্য উপযোগী কম্পানিই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
চাকরি নেওয়ার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কম্পানি আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়। এটা একটি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া। আবেদনকারী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে, আগে কোনো কম্পানিতে কাজ করেছে কি না, কাজের অভিজ্ঞতা আছে কি না—ইত্যাদি নানান তথ্য কম্পানিগুলো সংগ্রহ করে।