আগামী ৫০ বছরে চীন-ব্রাজিল ‘সোনালী অংশীদার’-এর গল্প আরও আকর্ষণীয় হবে
বর্তমানে, বিশ্ব কাঠামো দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, একের পর এক নতুন চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তন আসছে এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’ সম্মিলিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে চীন ও ব্রাজিল উভয়েই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং জনগণের মঙ্গলকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নত অবস্থানকে একটি নতুন সূচনা হিসাবে গ্রহণ করে, চীন এবং ব্রাজিল কীভাবে পরবর্তী ‘সুবর্ণ ৫০ বছর’ শুরু করতে পারে?
‘অভিন্ন লক্ষ্য’, ‘অভিন্ন উন্নয়ন’, ‘অভিন্ন দায়িত্ব’ এবং ‘অভিন্ন সুখ-দুঃখ’— প্রেসিডেন্ট সি চীন-ব্রাজিল সম্পর্কের ভবিষ্যত উন্নয়নের বিষয়ে চারটি পরামর্শ পেশ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস গভীর করা, উন্নয়ন কৌশল সংযোগ, বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়বিচার রক্ষা করা এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যণের কমিউনিটি গড়ে তোলা ইত্যাদি, যা চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং নতুন যুগে দু’দেশের সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করে। প্রেসিডেন্ট লুলা বিশ্বাস করেন যে, প্রেসিডেন্ট সির সফর ব্রাজিল-চীন সম্পর্কের নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
উন্নয়ন হল সমস্ত সমস্যা সমাধানের মূল চাবিকাঠি, এবং এটাও উন্নয়নশীল দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্রাজিলের হাজার হাজার পরিবারকে সবুজ বিদ্যুতে আলোকিত করা থেকে শুরু করে, নতুন ধারণা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্রাজিলের কৃষিকে ক্ষমতায়িত করে। উদীয়মান ক্ষেত্রে সহযোগিতায় চীন এবং ব্রাজিল উন্নয়ন কৌশলগুলোর সংযুক্ত প্রচার করে চলেছে, স্থানীয় জনগণের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে।
এই সফরের সময়, দুই রাষ্ট্রপ্রধান চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে বাস্তবিক সহযোগিতাকে কীভাবে উন্নীত করা যায় সে বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ, উন্নয়ন পরিকল্পনা সংযুক্ত করার মাধ্যমে চীন অর্থনীতি ও বাণিজ্য, অবকাঠামো, অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতাকে আরও গভীর করার এবং মহাকাশ, কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রস্তাব করেছে। ব্রাজিল পক্ষ চীনকে ‘ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসাবে প্রশংসা করেছে এবং জোর দিয়েছে যে উভয় পক্ষের উচিত আলোচনা জোরদার করা এবং অবকাঠামো, অর্থ, শিল্প চেইন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রচার করা। চীনা কোম্পানিগুলো ব্রাজিলে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করার জন্য চীনের সাথে সংযোগ ও সরবরাহের মাত্রার উন্নতির জন্য উন্মুখ ব্রাজিল।