সিএমজি সম্পাদকীয়: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রথমে মূল বিষয় ঠিক করতে হবে
বিগত কয়েক বছরে, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষনেতার ফোনালাপ বা দু’পক্ষের বৈঠক হোক না কেন, চীন সবসময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রকাশ করে: পৃথিবীতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের উন্নয়ন সুযোগ গ্রহণ, এবং দু’দেশের সম্পর্কের ভালো উন্নয়ন আশা করতে পারে।
এবারের যোগাযোগে চীন আবারও চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সঠিকভাবে সহাবস্থান করার একাধিক অবস্থান ও প্রস্তাব ব্যাখ্যা করেছে, উত্থাপন করেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সঠিক পথে রাখার চাবিকাঠি হল দুই শীর্ষনেতার সঠিক নেতৃত্ব, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষ ও প্রতিযোগিতা এড়ানোর চাবিকাঠি হল ৩টি যৌথ বিবৃতি মেনে চলা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে সহযোগিতার চাবিকাঠি হল একে অপরের সঙ্গে সম-আচরণ করা, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার চাবিকাঠি হল জনমতের ভিত্তিকে সুসংহত করা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান অর্জনের চাবিকাঠি হল সঠিক বোঝাপড়া স্থাপন করা। এই ৫ ‘চাবিকাঠি’তে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নে চীনের সামগ্রিক সচেতনতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়।
সাক্ষাতে সুলিভান যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন, তা হল তারা নতুন স্নায়ুযুদ্ধে জড়াবে না, চীনের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না, চীনের বিরুদ্ধে জোটকে শক্তিশালী করবে না, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ সমর্থন করে না এবং চীনের সঙ্গে সংঘাত করার কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সমান উপায়ে একে অপরকে বিবেচনা করা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই পৃথিবীতে দীর্ঘ সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে সম্মত হয়েছে। এ সব বক্তব্য ইতিবাচক, তবে মূল বিষয় হল যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। কিন্তু তারা বলে একভাবে আর করে অন্যভাবে। চীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা, দক্ষিণ চীন সাগর সংঘর্ষে উস্কানি দেওয়া, তাইওয়ানের নেতাকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আমন্ত্রণ করা ইত্যাদি আচরণ চীনের বৈধ অধিকার এমনকি মূল স্বার্থকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনকে আটকে দেয়া ও দমন করার কৌশল পরিবর্তন না করে, তাহলে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে ভালো হবে না।