৮ বার প্রত্যাখ্যানে প্রমাণিত ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রচেষ্টার কোন ভবিষ্যত নেই: সিএমজি সম্পাদকীয়
তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত: কেন তাইওয়ান ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসাবে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু পরে নয়? কারণ ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি কর্তৃপক্ষ ক্ষমতায় আসার পর ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রয়াসের উপর জোর দিয়েছিল এবং এক-চীন নীতিকে কেন্দ্র করে ‘১৯৯২ ঐকমত্য’ অস্বীকার করেছিল। যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে তাইওয়ানের অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক ভিত্তি আর বিদ্যমান নেই।
তাইওয়ান প্রণালীর দুই পারের মানুষ এক পরিবারের। কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় তাইওয়ানের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য-কল্যাণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। এক-চীন নীতির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার তাইওয়ানকে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার সুযোগ করে দিয়েছে। তাইওয়ানের ‘আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য প্রবিধান’ যোগাযোগ কার্যালয় রয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের প্রকাশিত তথ্যে সবকিছু পাওয়া যায়। তাইওয়ানের চিকিত্সক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও ব্যক্তিগতভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। গত এক বছরে ২১ ব্যাচে ২৪ জন এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিশ্বে একটিই চীন, আর তাইওয়ান চীনের অংশ। ডিপিপি কর্তৃপক্ষ এবং অল্প কয়েকটি দেশ যতই চেষ্টা করুক না কেন, তারা এই সত্যকে বদলাতে পারবে না। এক-চীন নীতি অটুট, এবং ‘বহিঃশক্তি ব্যবহার করে স্বাধীনতার প্রয়াস’ এবং ‘তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে দমন করার প্রয়াস’ অনিবার্যভাবে ব্যর্থ হবে।