৮ বার প্রত্যাখ্যানে প্রমাণিত ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রচেষ্টার কোন ভবিষ্যত নেই: সিএমজি সম্পাদকীয়
মে ২৮: ৭৭তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে গত সোমবার আবারও এমন একটি দৃশ্য মঞ্চস্থ করেছে: সম্মেলনটি স্পষ্টভাবে এজেন্ডায় পৃথক দেশগুলোর প্রস্তাবিত তথাকথিত ‘পর্যবেক্ষক হিসাবে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ করা’র প্রস্তাব আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকার করে। টানা অষ্টম বছরের জন্য, তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের বাইরে থাকছে। এটি সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করে যে এক-চীন নীতি জনগণের আকাঙ্ক্ষা। ডিপিপি কর্তৃপক্ষ বহিরাগত শক্তির সাথে যোগসাজশ ও রাজনৈতিক কারসাজি করে বৈশ্বিক জনস্বার্থের ক্ষতি করতে চেয়েছিল। এমন প্রয়াস কখনো ফলপ্রসূ হবে না, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রচেষ্টার কোন ভবিষ্যত নেই।
কিছু দিন আগে তার শপথগ্রহণের বক্তৃতায়, তাইওয়ানের নেতা লাই ছিং ত্য স্পষ্টভাবে ‘তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরের মধ্যে অনধীনতা’ বলে নতুন তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন এবং ‘বিশ্বের তাইওয়ান’ নামে বহিঃশক্তি ব্যবহার করে স্বাধীনতার প্রয়াস চালিয়ে আসছে। এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন তাদের আন্তর্জাতিক সমাজে নিজের স্বীকৃতি পাওয়ার একটি সুযোগ ছিল।
কিন্তু বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করলেও তা অবশেষে বিফল হয়েছে। কারণ তা এক-চীন নীতি লংঘন করে। এক-চীন নীতি হল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের ২৫.১ নম্বর প্রস্তাব দ্বারা নিশ্চিত করা একটি মৌলিক নীতি এবং তাইওয়ান অঞ্চলের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন টানা ৮ বছর ধরে তাইওয়ান-সম্পর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা থেকে জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নিয়মগুলো রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক ঐকমত্যকে প্রতিফলিত করে।