ফিলিপাইনে বিনিয়োগ বাড়ানোর মার্কিন প্রতিশ্রুতির আসল উদ্দেশ্য কি?: সিএমজি সম্পাদকীয়
আরেকটি বিবেচনা হলো ফিলিপাইনের বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ক্ষমতা কেমন? ফিলিপাইনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ ও ২০২২ সালে ফিলিপাইনে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১৯০ কোটি ডলার এবং ৯২০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে এ পরিমাণ ছিল ৬৫০ কোটি ডলার, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ কম। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে, যেমন দুর্নীতি, পরিবহন খাতের দুর্বলতা, বিদ্যুৎ ও পানির অধিক মূল্য ইত্যাদি। যদিও ফিলিপাইনে শ্রমের মূল্য অতো বেশি না, তবে গোটা এশিয়ায় যে কটি দেশে শ্রমের মূল্য বেশি, দেশটি তার মধ্যে একটি। আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও নীতি দ্রুত পরিবর্তনের কারণে ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন হবে পারে কি না সেটাও একটি প্রশ্ন।
তাহলে ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির আসল উদ্দেশ্য কী?
বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল সামরিক ও নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দেয় এবং অর্থনীতির সঙ্গে এর সম্পর্ক বেশি না। তাই মিত্র দেশগুলোকে কৌশর আর্ষণ করতে পারছে না। যেমন ফিলিপাইনের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন জরুরি একটি ব্যাপার। তাই যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক দিকে ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলে অর্থনীতি যুক্ত করছে; অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক জোটে অর্থনৈতিক শক্তি যোগাচ্ছে।
ফিলিপাইন সফরকালে রাইমন্ডো বলেছেন, সেমিকন্ডাক্টরসহ উন্নত প্রযুক্তি চীনের হাতে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকবে - এটা নিশ্চিত করতে যে কোনও মূল্য দেওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র যেকোনভাবেই চীনকে দমন করতে চায় আর তাদের কাছে ফিলিপাইন হলো উপযুক্ত দাবার গুটি।
ফিলিপাইনকে নিজের কাছে নেওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ফিলিপাইনকে ব্যবহার করে চীনকে দমন করতে পারে। যেমন দক্ষিণ চীন সাগরে আগের চেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।