তারা কেন যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন স্থগিত বা বাতিল করেছে?
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্যাটারির কাঁচামাল যোগান এবং প্রক্রিয়াকরণে আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় এবং জ্বালানি, জমি, শ্রম এবং অন্যান্য কারণের উচ্চ ব্যয় হয়। স্থানীয় এলাকায় সুদক্ষ শ্রমিকের অভাবের কারণে, টিএসএমসি’র মেশিন ইনস্টলেও সমস্যা হয়। এটি মার্কিন উৎপাদন শিল্পে বর্তমান শ্রমিকের ঘাটতির বিষয়টিকে প্রতিফলিত করে।
অন্যদিকে, বিনিয়োগের বিপরীতে বড় আয় করতে কোম্পানিগুলো অবশ্যই একটি শক্তিশালী ভোক্তা বাজার চায়। তবে গত অক্টোবর মাসে প্যানাসনিক ঘোষণা করেছে যে, উত্তর আমেরিকায় উচ্চ স্তরের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা কমছে এবং গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদন বিভাগ চলতি অর্থবছরের মুনাফার পূর্বাভাস ১৫ শতাংশ কমিয়েছে। এ ছাড়া, বাজার গবেষণা সংস্থা জেড ডি পাওয়ারের একটি রিপোর্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পাবলিক চার্জিং পাইল ত্রুটিপূর্ণ। ২০২২ সালে, আমেরিকান বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের চার্জিং ব্যর্থতার হার ২০ শতাংশে পৌঁছেছে। কম ক্রুজিং রেঞ্জ, বিদ্যুতের উচ্চ দাম, এবং অস্থিতিশীল পাওয়ার গ্রিডের অভিযোগ সব আমেরিকান গ্রাহকদের। তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অটো মার্কেটের মাত্র ৭.৯ শতাংশ বৈদ্যুতিক যানবাহনের।
শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতিকে রাজনীতিকরণ করেছে, সংশ্লিষ্ট নীতিতে বিভিন্ন বাধাগ্রস্ত বিষয় যোগ করে, তা প্রতিষ্ঠানের আস্থা এবং সক্রিয়তার আঘাত করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘চিপ এবং বিজ্ঞান আইনে লেখা আছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করে, তাহলে একচেটিয়া বাছাই করতে হবে; ‘মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইনে’র নতুন বিষয়ে নির্ধারণ করা হয় যে, ২০২৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়িতে চীনের উৎপাদিত ব্যাটারির উপাদান থাকতে পারবে না। এটি নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বড় বাধা।
বর্তমানে, চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি বিশ্ব বাজারের অর্ধেকেরও বেশি, এবং কিছু ব্যাটারি সামগ্রীর সরবরাহ চাহিদার ৯০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এমন একটা পরিস্থিতিতে চীনের সাথে ‘সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা’ কতটা সহজ? যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে হাজার হাজার গাড়ি বিক্রেতা সম্প্রতি সরকারের কাছে এমন ‘চরম বৈদ্যুতিক গাড়ি উন্নয়ন পরিকল্পনা’ বন্ধ করতে যৌথ চিঠি দিয়েছে।