আগামী ১০ বছরে বিশ্বের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে চীনের ভূমিকা
বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নানা দেশের ভারসাম্যহীন উন্নয়ন এখনও একটি বড় সমস্যা। ধনী-দরিদ্র এবং উত্তর-দক্ষিণ ব্যবধান দিন দিন বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিশ্বের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তা ব্যাপকভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি বলেন, বিশ্বের আধুনিকায়ন শান্তি, উন্নয়ন, সবার জন্য লাভজন এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য হতে হবে। তাহলে এ উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর উচ্চ মানের যৌথ নির্মাণ কী কী ভূমিকা পালন করতে পারে?
দীর্ঘ সময় ধরে অনেক উন্নয়নশীল দেশ মনে করতো আধুনিকায়ন মানে পশ্চিমীকরণ। তারা পশ্চিমের পদ্ধতি অনুসরণ করেছে, তবে তাতে ফল হয়নি। তারা নতুন একটি পথ খুঁজে পেতে চায়। গত ১০ বছরে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ আলোচনা, নির্মাণ ও ভাগাভাগির ধারণায় অবিচল থেকে চীন ও সংশ্লিষ্ট দেশ উভয়ের কল্যাণ অর্জন করেছে। উচ্চ মানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ নির্মাণ নানা দেশের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে একটি কার্যকর পথ দেখিয়েছে।
এবারের শীর্ষ ফোরামে আন্তঃযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও উন্মুক্তকরণের বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলা, বাস্তব সহযোগিতা, সবুজ উন্নয়ন বাস্তবায়নসহ নানা বিষয় নিয়ে ৮টি কার্যক্রম উত্থাপন করে চীন। সহজে বোঝা যায় যে, এ কার্যক্রমগুলো একদিকে যেমন বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চালিকাশক্তি দুর্বল হওয়াসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, তেমনি যুগ ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। এতে যেমন রয়েছে বাস্তব পদক্ষেপ তেমনি রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা, যা বিশ্বের আধুনিকায়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।
কিছু দিন আগে, চীন ও ইন্দোনেশিয়া-নির্মিত জাকার্তা-বান্দুং হাই স্পিড রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। ট্রেনটি চীন ও ইন্দোনিশেয়ার উচ্চ মানের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়েছে এবং মানুষেরা বিশ্বাস করে যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর যৌথ নির্মাণের সুন্দর একটি ভবিষ্যত রয়েছে। কেবল সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি সফলভাবে করা সম্ভব। আগামী ১০ বছরে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর উচ্চ মানের যৌথ নির্মাণ নানা দেশের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং মানবাজতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির গঠনকে এগিয়ে নেবে।