চীনের বিশাল বাজার ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সুবিধা
এ ছাড়া, ভোগ পুনরুদ্ধার ও জোরদার করতে হলে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও পরিষেবা চাই। ভোক্তাদের হালনাগাদ চাহিদা মেটাতে হবে। গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও পরিষেবা দিতে হলে উদ্ভাবন প্রয়োজন। জাপানের নিহন কেইজাই শিমবুন ওয়েসাইটে সম্প্রতি বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চীনে স্টক তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে গবেষণায় মোট ১৬৪ হাজার ১৯০ কোটি ইউয়ান ব্যয় করা হয়েছে। ৫ বছরের মধ্যে এটা ১.৬ গুণ বেড়েছে। কিছু কিছু চীনা প্রতিষ্ঠানে গবেষণাকর্মীর সংখ্যা মোট সংখ্যার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্ব উদ্ভাবন সূচকের তালিকায় চীনের অবস্থান ছিল ১১, যা ৩৬টি মাঝারি ও উচ্চ আয়ের দেশের মধ্যে চীনকে নিয়ে গেছে শীর্ষে।
উদ্ভাবনের উর্বর মাটি হিসেবে চীন বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে সিলেমের চীনা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং স্নেইডারের চীনা অটোমেশন রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার পরপর উদ্বোধন করা হয়। গত মে মাসে ভলভোর শাংহাই নকশাকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। ইউনিলিভারের হাই-অ্যান্ড পোশাক ব্র্যান্ড থিয়ানচিনে এশিয়ান রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এসব প্রতিষ্ঠান চীনের উদ্ভাবনের সুযোগ গ্রহণ করছে।
চীনের আর্থিকনীতিও বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আকর্ষণীয়। বর্তমান বিশ্বে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। কিছু পশ্চিমা দেশ হঠাত্ করে আর্থিকনীতি পরিবর্তন করে। তবে, চীন স্থিতিশীল ও স্থায়ী নীতি কার্যকর করে আসছে, যা বিদেশী ব্যবসায়ীদেরকে আস্থা বাড়িয়েছে। গত বছরের শেষ দিকে চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসভায় ‘ভোগ পুনরুদ্ধার ও বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার’ কথা বলা হয়। চলতি বছর চীন সরকার ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভোগ বাড়াবে।
আন্তর্জাতিক পরিবেশ এখনও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চীন কখনও অর্থনীতির এ চ্যালেঞ্জকে অস্বীকার করে না। তবে, এর মধ্যেও চীনের অর্থনীতি দৃঢ় পায়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের অর্থনীতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কাঠিয়ে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধনে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
১৬ আগস্ট, ২০২৩
চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে ওয়াং তান হোং রুবি