সিএমজি সম্পাদকীয়: চীন ও মধ্য এশিয়ার ‘হাতে হাত মিলিয়ে অগ্রসর’ হওয়ার প্রেরণা কী?
মে ১৭: ১৮ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন চীনের শানসি প্রদেশের সি’আন শহরে অনুষ্ঠিত হবে। একত্রিশ বছর আগে চীন ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথমবারের মতো শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। এক শতাব্দীতে বিশ্বের অভূতপূর্ব বড় পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রাচীন সিল্ক রোডের সূচনা-স্থানে ছয়টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মিলন অসাধারণ তাত্পর্যপূর্ণ।
"ভাল প্রতিবেশী, ভাল বন্ধু, ভাল অংশীদার, ভাল ভাই" – এ হলো চীন ও মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের সম্পর্কের একটি সত্য চিত্র। ১৯৯২ সালে চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আন্তর্জাতিক পরিবর্তনের পরীক্ষাকে প্রতিহত করেছে। ‘ভাল-প্রতিবেশী’ বন্ধুত্ব থেকে তাদের সম্পর্কের উত্তরণ হয়েছে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা দ্রুত লেনে প্রবেশ করেছে। এর পেছনে অনুপ্রেরণা কী?
প্রথমত, রাষ্ট্রপ্রধানের কূটনৈতিক নেতৃত্বের কারণে। বিগত ১০ বছরে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সাতবার মধ্য এশিয়া সফর করেছেন; বুখারা, সমরকন্দ ও প্রাচীন সিল্ক রোড বরাবর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে পায়ের ছাপ রেখেছেন। মধ্য এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও বেইজিং, সাংহাই, ছিংতাও ও চীনের আরও অনেক জায়গা সফর করেছেন। বর্তমানে চীন ও মধ্য এশিয়া উভয়ই উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। চীন চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও উন্নয়ন কৌশল জোরদারে মনোযোগ দিচ্ছে এবং চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উন্মুখ তারা। একই সময়ে, গোটা দেশ শতাব্দী পরিবর্তনের প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে এবং তাদের যৌথভাবে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠার আকাঙ্ক্ষা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, প্রথম চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা জোরদার হবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারিত হবে।