শ্রমিক দিবসের ছুটিতে আরও চাঙ্গা হয়েছে চীনের অর্থনীতি
এবারের ছুটিতে শক্তিশালী ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি করতে নানা ব্যবস্থা নেয় চীন সরকার। চলতি বছর ভোগ সম্প্রসারণ ও পুনরুদ্ধারে প্রথম হয় চীন। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানো, মানুষের আয় বৃদ্ধি ও ভোগের পরিবেশ উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বেইজিং। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছরকে ভোগ বৃদ্ধির বছর হিসেবে নির্ধারণ করেছে। ভোক্তা বাজার পুনরুদ্ধার করতে চীনের নানা বিভাগ বিভিন্ন জায়গায় ৩০০টির বেশি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
ছুটির অর্থনীতির মাধ্যমে চীনা অর্থনীতিকে পর্যবেক্ষণ করা যায়। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে এবং শ্রমিক দিবসের ছুটির সময়ে ভোক্তা ব্যয় আশাতিরিক্ত হয়েছে। তা প্রমাণ করে চীনের ভোগ্য বাজারের চালিকাশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অর্থনীতির উন্নয়নে ভোগের অবদান জোরদার হচ্ছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিবেশ ক্রমশ জটিল ও পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে চাহিদার সঙ্কোচন। এসময় আবার কোন কোন অর্থনৈতিক সত্তার কঠোর মুদ্রানীতি বিশ্বকে নাস্তানাবুদ করছে। এমন এক সময়ে চীনের শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুযোগ বয়ে এনেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক আউটলুকে বলা হয়, এতদঞ্চলে বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে চীনের অবদান সবচেয়ে বেশি। গোল্ডম্যান স্যাকসের অনুমান অনুযায়ী ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদার পুনরুদ্ধার বৈশ্বিক জিডিপিকে প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।
বিদেশী কোম্পানিগুলো চীনের নানা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ, বিনিয়োগ ও কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে আসছে। বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তারা চীন সফর করছেন। বহির্বিশ্ব বারবার চীনের দিকে নজর দিয়েছে; এসব প্রমাণ করে যে চীনা অর্থনীতির উন্নয়নের এ ‘দ্রুতগামী ট্রেন’ কেউ মিস করতে চাচ্ছে না।
শিশির/এনাম/রুবি