বাংলা

যুক্তরাষ্ট্র হ্যাকার সম্রাট; তারা সারা বিশ্বের ক্ষতি করছে

CMGPublished: 2022-09-13 19:35:52
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে নজরদারির গোপন নেটওয়ার্ক গঠন করেছে। তার নাগরিক ও মিত্র দেশগুলোও সে নজরদারি থেকে রক্ষা পেত না।

২০১৩ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেন দেশটির ইন্টারনেট নজরদারি কর্মসূচির তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। উইকিলিকসের তথ্য থেকে জানা গেছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফ্রান্সের সাবেক তিনজন প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক, নিকোলাজ সারকোজি, ও ফ্রান্সোয়া ওলান্দের ওপর নজরদারি করেছে। ২০২১ সালে ডেনমার্কের গণমাধ্যম দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ফাঁস করে জানিয়েছে, দুই সংস্থা জার্মান সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলসহ বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নজরদারি করেছে।

লস এঞ্জেলস টাইমস জানিয়েছে, কুখ্যাত ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলা দমনের অজুহাতে মার্কিন ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বিভাগকে জনসাধারণের ওর নজরদারির অধিকার দিয়েছে মার্কিন সরকার। এ সংস্থা দশ কোটিরও বেশি মার্কিনীর গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং সংস্থাটিকে দোষারোপ করা হয়নি।

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালকের কার্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মার্কিন ফেডারেল তদন্ত সংস্থা কোনো খানা তল্লাসি পরওয়ানা ছাড়াই মার্কিন নাগরিকদের ইলেকট্রনিক তথ্যের ওপর ৩৪ লাখের বেশি বার চেক করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, সংস্থাটি একবার ৩০ দিনের মধ্যে ৯,৭০০ কোটি বার বিশ্ব ইন্টারনেট ডেটা এবং ১২,৪০০ কোটি বার টেলিফোন ডেটা চুরি করেছে।

বাস্তবতা ও সব তথ্য-উপাত্ত প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র সত্যি হ্যাকার, নজরদারি এবং গোপন তথ্য চুরির সম্রাট। দেশটি বার বার সাইবার হামলা ও গোপন তথ্য চুরির মাধ্যমে তার আধিপত্যবাদী স্থান রক্ষা করার চেষ্টা চালায়, তাতে বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষতি করে। বিভিন্ন দেশের উচিত মার্কিন সাইবার হামলার বিষয়ে সচেতন থাকা এবং যৌথভাবে মোকাবিলা করা।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn