যুক্তরাষ্ট্র হ্যাকার সম্রাট; তারা সারা বিশ্বের ক্ষতি করছে
সম্প্রতি নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিকাল ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে বিদেশী সাইবার হামলার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর চীনের জরুরি কম্পিউটার ভাইরাস মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ৩৬০টি কোম্পানির যৌথ প্রযুক্তি দলের এ সাইবার হামলার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকার সম্রাট হবার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেছে।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের অগণিত হ্যাকিং কাণ্ডের অন্যতম। সে প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা চীনকে লক্ষ্য করে দশ হাজারের বেশি বার সাইবার হামলা চালিয়েছে এবং মূল্যবান তথ্য চুরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নানা কোম্পানির সঙ্গে মিলে সাইবার হামলা চালায়। বিদেশে সাইবার হামলা চালানো মার্কিন সরকারের দৈনিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।
২০০৪ সালে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরো কোয়ান্টাম নামক সাইবার হামলার প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে। এ প্ল্যাটফর্ম চালু হওয়ার পর থেকে ব্যুরোটি ১ লাখ কম্পিউটারে কোয়ান্টাম সাইবার হামলার ব্যবস্থা বসিয়েছে। গত দশাধিক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা বিশ্বে নির্বিচারে সাইবার হামলা চালিয়েছে। চীন তার হামলার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের অন্যতম। দশ লাখেরও বেশি সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ২০১০ সালের জুন মাসে স্টুক্সনেট নামক ভাইরাস প্রথমবারের মতো লক্ষ্য করা হয়েছে। এটাকে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন সাইবার অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এ ভাইরাস মার্কিন সরকারের কর্ম বলে খণ্ডন করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে চীনের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। ইরানের নাতানজ পারমানবিক কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক এ ভাইরাসের শিকার হয়। ফলে অনেক ইউরেনিয়াম কেন্দ্রিকীকরণের সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।