ডিজিটাল ক্ষমতায়ন: চীন-লাওস রেলপথ বরাবর সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি
২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর চালু হওয়া থেকে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবানে চীন-লাওস রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি যোগাচ্ছে।
শি লিন জেলা চীন-লাওস রেলপথের আরম্ভ-বিন্দু খুনমিংয়ে অবস্থিত। সেখানে উত্পাদিত তরমুজ-নাশপাতি চীনে খুবই বিখ্যাত। কিন্তু বিশেষ ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে শি লিন জেলার প্রচুর পাথুরে মরুভূমি রয়েছে, তাই সেখানে অর্থকরী ফসল চাষ করা খুবই কঠিন ছিল। স্থানীয় জনসাধারণের আয় বাড়াতে সাহায্য করতে, চায়না টেলিকম কর্পোরেশন লিমিটেড শিলিন শাখা কোম্পানি শিলিন জেলার কৃষি ও গ্রাম ব্যুরোর সাথে ‘ডিজিটাল ক্ষমতায়ন গ্রামীণ পুনরুজ্জীবন প্ল্যাটফর্ম’ উন্নয়ন করেছে। প্রযুক্তিবিদরা সবসময় কৃষি জমিতে কৃষকদের ডিজিটাইজেশন চাহিদা সমাধান করে দেন।
বর্তমানে শিলিন জেলার তরমুজ-নাশপাতি ঘাঁটি প্রথম দফা জাতীয় আধুনিক কৃষি সম্পূর্ণ শিল্প চেইন প্রমিতকরণ প্রদর্শন পাইলট বেস এবং ইউননান প্রদেশের আধুনিক কৃষি সম্পূর্ণ শিল্প চেইন প্রমিতকরণ প্রদর্শন পাইলট বেসে পরিণত হয়েছে।
চীন-লাওস রেলপথের দক্ষিণ দিকে যাবার দু’ঘন্টা পর পু এর শহরে পৌঁছানো হয়। এখানে পু এর চায়ের প্রধান উত্পাদন স্থানগুলোর অন্যতম। ই জাতির চা-চাষী ফেই পেইহাই ২৬ বছর ধরে চা চাষ করেছেন। বর্তমানে তিনি পু এর শহরের সি মাও এলাকার জেং ওয়ান গ্রামে ৭শ’ মু চা বাগান পরিচালনা করছেন। চা বাগান প্রশাসনের সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রযুক্তিবিদরা উচ্চ-সংজ্ঞা ক্যামেরা ও পরিবেশ আবহাওয়া সেন্সরসহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল সরঞ্জাম স্থাপন করেছেন।
বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি উপাদান চীন-লাওস রেলপথ বরাবর ঐতিহ্যগত চা বাগানে আরো বেশি ব্যবহৃত করা হচ্ছে। রেলপথ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করে, বরাবর লজিস্টিক ও কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন বেগবান করার কারণে, এতদাঞ্চলে অনেক প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক কার্যকারিতাও ক্রমবর্ধমান।