পরিচ্ছন্ন পানির খাল মানুষের হৃদয়কে সিক্ত করে
কুও বিংখুই জানান, খালের একটি অংশ স্কুলের কাছে থাকার কারণে, তাদের নির্মাণ সময় বাছাই করতে হতো এবং সর্বাধিক মাত্রায় কম্পন কমাতে ও কর্কশ উচ্চশব্দ কমাতে হতো। যাতে স্কুলের স্বাভাবিক শিক্ষায় বিঘ্ন না ঘটিয়ে খাল কাটা সম্পন্ন করা যায়।
সিএসসিইসি’র শ্রীলংকা শাখা কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তি লিউ বিংছুয়ান ব্যাখ্যা করেন, প্রকল্পটি সবসময় নির্মাণ কাজকে সামাজিক দায়িত্বের সাথে সংযুক্ত করে। ৬ শতাধিক স্থানীয় কর্মসংস্থান সরবরাহ করার পাশাপাশি ‘লুবান কারিগর পরিকল্পনা’ কার্যকর করার মাধ্যমে ৮০ জনের বেশি স্থানীয় প্রযুক্তিকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
চীনা পক্ষের আন্তরিকতা ও সম্মান স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জন করে। “চীনা বন্ধুরা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার পর পথটি পুনরুদ্ধার ও সবুজায়ন করে অথবা গ্রামের জন্য অন্যান্য মেরামত করে, গ্রামবাসীদের জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করে। সুতরাং আমি নিজের সামর্থ্যে নিকটবর্তী শহরবাসী ও গ্রামবাসীদের নিয়ে চীনা বন্ধুর জন্য সর্বাধিক মাত্রার সমর্থন ও সমন্বয় দিতে চাই।” গালেওয়েলা শহরের অধীনে এক গ্রামের কৃষি সমিতির চেয়ারম্যান ভিজেকন এমন কথা বললেন।
অনেক স্থানীয় বাসিন্দার জন্য খালটি নতুন জীবনের আনন্দ বয়ে এনেছে। সন্ধ্যার সময় ২৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ নুরশাদ অফিস থেকে এসে খালের ধারে বন্ধুদের সাথে খেলার জন্য তার তর সয় না। তিনি বললেন, খালটি শহরের কৃষি উত্পাদন বাড়িয়েছে, আমাদের জীবনেও আনন্দ নিয়ে এসেছে।”
পানি খেলা, হাঁটাহাঁটি...... যখন সূর্য ততটা গরম হয় না, খালের পাশে সবসময় বলার কিছু থাকে।