সিপিসি’র ‘সিদ্ধান্ত’: একটি বিস্তৃত এবং গভীর অবস্থানের পাশাপাশি সূক্ষ্মতার ওপরও গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন
ক: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেশ কয়েকবার ‘একটি বিস্তৃত এবং গভীর অবস্থানের পাশাপাশি সূক্ষ্মতার ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হয়’ কথাটি উদ্ধৃত করেছেন। বিস্তৃত এবং গভীর অবস্থান এবং সূক্ষ্মতা যথাক্রমে সম্পূর্ণতা এবং অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এ কথা চীনাদের নিজেকে গড়ে তোলা এবং দেশ প্রশাসনের পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে।
খ: উদাহরণস্বরূপ, এ সিদ্ধান্তের বিস্তৃত দিক হলো সম্পূর্ণ অবস্থা অনুসরণ করে দৃষ্টিপ্রসারে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ক: এ সিদ্ধান্তে রয়েছে ১৫টি অংশ। তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অর্থনীতি, গণজীবিকা, শিক্ষা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, গণতন্ত্র, আইনী প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন পার্টির সংগঠনসহ নানা ক্ষেত্র। এ সিদ্ধান্ত সিপিসি’র ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক নথি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
খ: ব্যবস্থামূলক চেতনা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দেশ প্রাশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। এটি আবার এ সিদ্ধান্তের অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ নীতির একটি। ২০ হাজারের বেশি শব্দ নিয়ে গঠিত এ সিদ্ধান্তে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণজীবিকার উন্নতিকে কেন্দ্র করে সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করার কার্যক্রমে ব্যবস্থামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খ: বিস্তৃত ও গভীর দিক তুলে ধরছি আমরা, তাহলে সূক্ষ্মতার দিক কিভাবে প্রতিফলিত হয়?
ক: এ সিদ্ধান্তে রয়েছে বিস্তারিত ৩০০টিরও বেশি সংস্কারের ধারা। যা আধুনিকায়নের বিভিন্ন দিক কাভার করে। জনসাধারণের খাওয়া, কাপড়চোপড় এবং যাতায়াতসহ নানা খাতের ওপর মনোনিবেশ করা হয়। তাই বলা যায়, এ সিদ্ধান্ত শুধু রূপরেখা নয়, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের রোডম্যাপও নির্ধারিত হয়েছে এতে।
খ: আরও উল্লেখ্য করতে হয় যে, এ সিদ্ধান্তে শুধু দেশের প্রশাসনের সংস্কার নয়, আরও উচ্চমানের উন্মুক্তকরণের কৌশলও প্রবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ব্যবস্থামূলক উন্মুক্তকরণ, বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংস্কার, বিদেশী বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রশাসনের ব্যবস্থামূলক সংস্কার গভীরতর করা হবে এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে’র আওতায় উচ্চমানের যৌথ নির্মাণ বেগবান করা হবে। এ সব ব্যবস্থা বিদেশী বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ বটে।
ক: যাই হোক, নতুন যুগে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের নীতি মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থের সমাজ সূচনা করবে বলে আশা করা যায়।