চীনা প্রতিষ্ঠানের নির্মিত জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রে কম্বোডিয়ান শহরের ‘গ্রিড দ্বীপ’ পরিস্থিতির অবসান
চলতি বছরের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম কম্বোডিয়ার কাও কং প্রদেশে চীনের হুয়াডিয়ান কর্পোরেশনের বিনিয়োজিত স্টুং রুসেই চরুম নিম্ন অববাহিকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবসায়িক অপারেশনের দশম বার্ষিকী। স্টুং রুসেই চরুমে প্রবেশ করে, জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রের বাঁধে কয়েকটি চীনা ও কম্বোডিয়ান অক্ষর বিশেষ নজরকাড়ে।
এটি বিদেশে হুয়াডিয়ানের ‘বিওটি’ রূপে বিনিয়োজিত ও উন্নয়ন করা প্রথম জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র। কেন্দ্রটির বিদ্যু্ত উত্পাদন ক্ষমতা ৩৩৮ হাজার কিলোওয়াট এবং গড় বার্ষিক বিদ্যুত্ উত্পাদন প্রায় ১ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা এবং বিরাট মাত্রায় দেশটির বিদ্যুত্ ঘাটতি পরিস্থিতি প্রশমিত করে।
“জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র হলো জ্বালানি অবকাঠামো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি স্থানীয় উন্নয়ন জোরদার করে এবং জনগণের জীবনমান উন্নীত করে।” প্রকল্পের কম্বোডিয়া কোম্পানির দায়িত্বশীল ব্যক্তি জু সিনইউয়ান জানান, জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রটি উৎপাদনের আগে, দেশটির বিদ্যুত্ ঘাটতির পরিমাণ সারা দেশের বিদ্যুত্ চাহিদার ২০ শতাংশের বেশি এবং তা গুরুতরভাবে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিঘ্নিত করে।
উ সিথিয়ান হলেন স্টুং রুসেই চরুম কোম্পানির কম্বোডিয়ান ভাষা অনুবাদক। তাঁর বাসা কাও কং প্রদেশের কাও কং শহর। তিনি জানান, শহরটি আগে ছিল দেশটির একটি ‘গ্রিড দ্বীপ’, সকল বিদ্যুত্ প্রতিবেশি থাইল্যান্ড থেকে আমদানী করা হতো। কোম্পানি কেন্দ্র থেকে কাও কং শহর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপন করে, এখান থেকে সারা দেশের গ্রিডে সংযুক্ত করা হয়। এখন স্থানীয় বিদ্যুতের দাম আগের থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ কমেছে এবং বিদ্যুৎ সঙ্কট খুব কম হয়। কারখানা ভবন আরো বেশি হচ্ছে, জনগণও এয়ার কন্ডিশনারের মতো বৈদ্যুতিক সামগ্রী কিনছেন। এখন বিদ্যুতের দাম সস্তা হবার পাশাপাশি সুবিধাজনকও হয়েছে। জীবনযাপনের মান আরো ভালো হয়েছে।