চীন বাংলাদেশ মৈত্রী দীর্ঘ হোক
গত বছরটি ছিল চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর উত্থাপিত "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের দশম বার্ষিকী। সে বছরটি চীন-বাংলাদেশ "বেল্ট অ্যান্ড রোড" সহযোগিতার একটি ফলপ্রসূ বছর ছিল। অনেক মেগা প্রকল্প, যেমন- পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ, কর্ণফুলী নদীর বঙ্গবন্ধু টানেল অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করা হয় এবং বাংলাদেশিদের সহস্রাব্দের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের কথা স্মরণ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের আধুনিকীকরণের যাত্রায়, "বেল্ট অ্যান্ড রোড" হল একটি উন্নয়ন সহযোগিতার উদ্যোগ, যা "ভিশন ২০৪১" এবং "সোনার বাংলাদেশ" স্বপ্নের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশের জাতীয় অবস্থার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। নতুন ঐতিহাসিক সময়ে, চীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে, দু’দেশের পরিপূরক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে এবং চীন-বাংলাদেশ আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে একটি অনুসরণীয় মানদণ্ডে পরিণত করবে। "বেল্ট অ্যান্ড রোড"-এর উচ্চ-মানের যৌথ নির্মাণের মডেল হিসেবে উন্নীত করবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন যে, নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিশেষ করে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ শুরু হলে, পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর শত শত বছরের শিল্পায়নের যাত্রা সম্পূর্ণ করতে আমরা কয়েক দশক সময় নিয়েছি, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক অলৌকিক ঘটনা তৈরি করেছি। দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক স্থিতিশীলতা ও চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের অনুশীলন প্রমাণ করেছে যে, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকীকরণ বাস্তবভিত্তিক ও স্থিতিশীল, একটি শক্তিশালী দেশ গঠন এবং জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করার একমাত্র সঠিক পথ। চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকীকরণ "আধুনিকীকরণ মানে পশ্চিমীকরণ" এর মিথ ভেঙ্গে দিয়েছে। আধুনিকীকরণের আরেকটি চিত্রে দেখা যায়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর আধুনিকীকরণের পথের বিকল্পগুলোকে প্রসারিত করেছে এবং মানবজাতির উন্নততর সামাজিক ব্যবস্থা অন্বেষণের জন্য একটি চীনা সমাধান প্রদান করে।