চীন বাংলাদেশ মৈত্রী দীর্ঘ হোক
আগামী বছর চীন ও বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে উভয় দেশ একে অপরকে সবসময় সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সম-আচরণ করেছে এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় সাফল্য অর্জন করেছে একে অপরের মূল স্বার্থ জড়িত বিষয়ে পরস্পরকে সমর্থন দিয়েছে, নিজ নিজ উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবন অর্জনে হাতে হাত রেখে কাজ করেছে এবং দু’দেশের জনগণের কল্যাণ বয়ে এনেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ যত্ন ও নির্দেশনায় চীন ও বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও জয়-জয় সহযোগিতার মডেল হয়ে উঠেছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক ভালো কি-না তা শেষ পর্যন্ত দু’দেশের জনগণই নির্ধারণ করে। বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস পরপর দ্বিতীয় বছরের মত বাংলাদেশে জনমত জরিপ করেছে। ফলাফলে দেখা যায় যে, ৬০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতারা চীন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এবং ৯০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো। "বেল্ট অ্যান্ড রোড" সহযোগিতা বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। চীনকে আরো বেশি বাংলাদেশি গ্রহণযোগ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনে করছে। আরও বেশি বাংলাদেশি চীনা সংস্কৃতি বুঝতে, শিখতে এবং চীনে ভ্রমণ, অধ্যয়ন ও ব্যবসা করার সুযোগ পেতে চায়।
আগামী বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে। নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সুযোগের সামনে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতি ও মানোন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা উদ্যোগে যোগ দিয়েছিল। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৬৭০টিরও বেশি চীনা কোম্পানি কাজ করছে, ৭টি রেলপথ, ১২টি মহাসড়ক, ২১টি সেতু এবং ৩১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করছে, বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে কমিউনিটি সেবা, দাতব্য এবং অন্যান্য দিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।