বেনিনে তুলা চাষের আধুনিকায়নে চীনা প্রযুক্তির ব্যবহার
তৃতীয় পর্ব প্রকল্পের প্রধান শৌ শিয়াওইয়ং বলেন, ২০২১ সালে শুরু হবার পর থেকে তৃতীয় পর্ব প্রকল্পের আওতায় মোট ২২টি প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্থানীয় তুলাচাষের মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছেন।
শৌ শিয়াওইয়ং বলেন, “আমরা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য নতুন কৃষিযন্ত্র, নতুন সরঞ্জাম ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছি। বেনিনের তুলার মান উন্নত ও আপগ্রেডিংয়ে সাহায্য দিচ্ছি আমরা। আশা করা যায়, তুলাচাষের যান্ত্রিকীকরণ বেনিনের মধ্যাঞ্চলের অন্যান্য জায়গা ও উত্তরাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে এবং তুলার উত্পাদন অনেক বাড়বে। পাশাপাশি, আরও বেশি কৃষক কৃষির যান্ত্রিকীকরণের প্রাধান্য কাজে লাগিয়ে, নিজেদের জীবন উন্নত করতে পারবে।”
গ্রামের প্রধান ইয়েভেস কোবা বলেন, সাহায্য প্রকল্পের ফলে গ্রামের অনেক মানুষ নতুন বাড়ি নির্মাণ এবং মোটরসাইকেল বা গাড়ি কিনতে পেরেছেন। তুলা উত্পাদনে যন্ত্রের ব্যবহার একদিকে যেমন উত্পাদন বাড়িয়েছে, অন্যদিকে স্থানীয়দের জীবনমান উন্নত করেছে।
তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ শুরু হবার আগে, গ্রামে তুলাচাষী পরিবার ছিল এক শ’র কম। চীনা প্রযুক্তি আসার পর এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে গ্রামে ৩ শতাধিক পরিবার তুলা চাষ করছে।
চীনা বিশেষজ্ঞদের সাথে গ্রামবাসীদের গভীর মৈত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গ্রামে স্কুল নির্মিত হয়েছে এবং স্থানীয় শিশুদেরকে স্কুলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সাইকেল সরবরাহ করা হয়েছে। কোবা বলেন, চীনা বিশেষজ্ঞরা তাদের গ্রামের জীবন আরও সুন্দর করতে সাহায্য করছেন। প্রকল্পটি অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে বলে তিনি আশা করেন।