বেনিনে তুলা চাষের আধুনিকায়নে চীনা প্রযুক্তির ব্যবহার
জুন মাস বেনিনের বর্ষাকাল। তুলা চাষের উপযুক্ত সময় এটি। গ্রামবাসী ডোনাশিয়ান এডজিন কৃষিযন্ত্র দিয়ে জমির মাটি আলগা করার জন্য প্রস্তুত। চীনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনিও উপকৃত হয়েছেন। চীনের সাহায্যে কৃষির যান্ত্রিকীকরণের সুবিধা তিনিও ভোগ করছেন। তিনি জানান, কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যাপকভাবে কর্মঘন্টা বাঁচায়। তিনি ৬ হেক্টর জমিতে কম সময়ে তুলা চাষ করেন।
পারাকৌ বেনিনের গুরুত্বপূর্ণ তুলা উত্পাদন অঞ্চলগুলোর অন্যতম। তুলাচাষ স্থানীয় কৃষকদের প্রধান আয়ের উত্স। ২০১৩ সাল থেকে চীনের সাহায্যে বেনিন বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সাহায্য প্রকল্পের তৃতীয় পর্বের কাজ সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে। দশ-বার বছর ধরে চীনা বিশেষজ্ঞরা, বেনিনের স্থানীয় পরিস্থিতি অনুসারে, তুলার উন্নত বীজের প্রজনন, চাষপ্রযুক্তি ব্যবহার, কৃষি খাতে প্রশিক্ষণ, এবং কৃষিযন্ত্রপাতি পরিচালনাসহ বিভিন্ন কাজ করে আসছেন। ফলে, স্থানীয় তুলার উত্পাদনের পরিমাণ ও গুণগত মান সুস্পষ্টভাবে উন্নত হয়েছে এবং বেনিনের তুলাচাষের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া বেগবান হয়েছে।
কৃষিবিদ শেন চিওয়ান প্রকল্পের প্রথম ও তৃতীয় পর্বের কাজে অংশ নিয়েছেন। তিনি নিজের চোখে স্থানীয় তুলাচাষীদের জীবনের বিরাট পরিবর্তন দেখেছেন। প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সময় তাঁর ক্যাম্পিং সাইটের পাশে শুধু কয়েকটি খড়ের ঘর ছিল। এখন গ্রামবাসীদের প্রায় সবার নতুন করে নির্মিত ইট ও টালির ঘর আছে।
আকিলু আর্টস একজন সুপরিচিত তুলাচাষী। ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রকল্পের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। তিনি কৃষিযন্ত্রপাতির ব্যবহার ও তুলাচাষ প্রশিক্ষণে অংশ নেন এবং গুদামরক্ষক থেকে পর্যায়ক্রমে উত্পাদন সুপারভাইজার পদে উন্নীত হন।
আর্টস একটি ছোট ট্রাক্টর কিনেছেন। তিনি আরও বেশি কৃষিযন্ত্রপাতি কেনার জন্য টাকা জামাচ্ছেন। তিনি আশা করেন, চীনা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আরও বেশি তুলাচাষের জ্ঞান আহরণ করে, তিনি নিজে গ্রামবাসীদের তা শেখাবেন, যাতে তাদের তুলার উত্পাদন আরও বাড়ে।