৪১ বছর ধরে চলমান ফ্রি ক্লাস
মঞ্চের নীচে সর্বস্তরের মানুষ রয়েছেন। তাদের কাছে সাধারণ ছাত্রদের মতো জ্ঞানের ভাণ্ডার নেই, না প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো একাডেমিক লক্ষ্য রয়েছে। তাদের ধরে রাখার একমাত্র উপায় হল উচ্চমানের এবং আকর্ষণীয় বক্তব্য। অনেক প্রভাষক মনে করেন, ‘এই মঞ্চে দাঁড়ানো সহজ নয়।’
সোং ওয়েন চিং এ ক্লাসের প্রভাষক। তিনি বলেন, আমি যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই, তাহলে এটি সাধারণত একটি কোর্স। এ কোর্সের কারণ এবং ফলাফল, অধ্যায় বিতরণ এবং একাডেমিক গভীরতা থাকতে হবে। তবে এখানে বিষয়গুলো সহজ উপায়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। আপনাকে সবার সাথে যোগাযোগ করতে এবং গল্প বলার জন্য ভাষা ব্যবহার করতে হবে। আমি সবাইকে খুশি করতে চাই। আজকাল সবাই অনলাইনে অনেক কিছু দেখতে পারে, তাই আপনার কিছু স্বাধীন মতামত থাকতে হবে।’
প্রভাষকরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন এবং শ্রোতারা তাতে আনন্দ পান। ‘সপ্তাহে একটি ক্লাসে’ প্রত্যেকে কেবল জ্ঞানের আনন্দই ভাগ করেন না, অভিন্ন আগ্রহের কারণে অনেকে একে অপরের বন্ধু হয়েছেন।
বিগত ৪১ বছরে, ২০০ জনেরও বেশি প্রভাষক প্রতি সোমবার বিরতি বা পুনরাবৃত্তি ছাড়াই ক্লাস নিয়েছেন, তাদের মধ্যে একটি পরিবার ধারাবাহিকভাবে রিলে পদ্ধতিতে মঞ্চে পা রেখেছে।
১৯৯৪ সালে সোং ওয়েন চিংকে ‘সপ্তাহে একটি বক্তব্য’ ক্লাসের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময়ে দুই বছর বয়সী সোং হান এর এবং তার যমজ বোন সোং লু ক্লাসের সর্বকনিষ্ঠ শ্রোতা সদস্য হয়েছিলেন।
সোং হান এর বলেন, সবাই বাবার দিকে তাকালো, যেন বাবার কাছ থেকে আরও মজার জিনিস শোনার আশায়। তারা সবাই বাবাকে ঘিরে ধরে এবং আমার মনে হয় একটা পরিবেশ ছিল যা আমার কাছে ক্লাসটিকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছিল।
গত ৩০ বছরে, সোং ওয়েন চিং ৮০ বার এ ক্লাস নিয়েছেন। সে সময় তার মেয়ে সোং ওয়েন চিংয়ের সঙ্গি ছিলেন। এমন কি বাড়িতে ছবি এবং ভিডিও, এবং স্লাইডশো করতে সাহায্য করেন সোং হান এর। ‘সপ্তাহে এক বক্তব্য’ এর অনানুষ্ঠানিক সহকারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ক্লাস তার হৃদয়ে আসন করে নিয়েছে।