উন্নত প্রযুক্তি কিভাবে প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করছে
চ্যচিয়াং প্রদেশের হাংচৌ শহরের একজন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী কুও জিই হুয়া বলেন, "আমি মনে করি, এটি একটি দুর্দান্ত ফাংশন। এটি অনেক সময় সাশ্রয় করে এবং আমার কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উন্নত করে" ।
প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন কুও বাই লিং, একজন ৩৫ বছর বয়সী ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, যখন তার বয়স মাত্র এক বছর, তখন তার পা পোলিওর কারণে অবশ হয়ে গিয়েছিল।
তার পরিবার এবং দাতাদের সহায়তায়, মিস্টার কুও স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন শেষ করেন এবং ২০১৪ সালে হাংচৌতে একজন ডেটা ইঞ্জিনিয়ার হন। তখন, যদিও শহরে বাধা-মুক্ত যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছিল, তবুও তিনি অ্যাক্সেসযোগ্য সুবিধাগুলো খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে মনে করেছিলেন।
কুও বলেন, "আমি ভাবছিলাম যে আমার মতো লোকেদের আরও সুবিধাজনকভাবে চলাফেরা করতে সাহায্য করার জন্য আমরা একটি হুইলচেয়ার নেভিগেশন পণ্য তৈরি করতে পারি। তারপরে, আমি আমার সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছি যারা নেভিগেশন, ভ্রমণ এবং মানচিত্র পণ্য ও পরিষেবাগুলোতে ব্যবসা করছে। তারা বাধা-মুক্ত পণ্য করার পরিকল্পনাও করছিল- বিনামূল্যে পণ্য, তাই আমরা তা শুরু করেছি" ।
২০২২ সালে চালু হওয়া হুইলচেয়ার নেভিগেশন প্রকল্পটি সারা দেশের ৫০টি শহরে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ৬৫ মিলিয়ন বাধা-মুক্ত রুট সরবরাহ করেছে।
কুও বলেন, "প্রযুক্তিগতভাবে বলতে গেলে, এটি সবচেয়ে কঠিন প্রকল্প নাও হতে পারে; তবে বয়স্ক-সহ অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই পণ্যটি ব্যবহার করছেন, যা তাদের ভ্রমণকে আরও সুবিধাজনক করে তুলছে। তাই আমার কাছে, এই প্রকল্পটি সবচেয়ে মূল্যবান।"
কুও তার কোম্পানিতে একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পও শুরু করেছেন। যা তার শত শত সহকর্মীদের জন্য নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গত দুই বছরে, তিনি বেইজিং ২০২২ শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমস এবং হাংচৌ এশিয়ান প্যারা গেমসের একজন মশালবাহক হিসাবে মনোনয়ন পান।
কুও বলেন, "আমার আরেকটি ইচ্ছা আছে। হুইলচেয়ারে, আমি খুব কমই হাংচৌ শহর এবং বাইরে ভ্রমণ করার সুযোগ পাই। কিন্তু দেশ জুড়ে বাধা-মুক্ত পরিবেশ উন্নত হওয়ায়, আমি আমাদের দেশের সুন্দর নদী, পাহাড় দেখতে আবারও ভ্রমণ করতে পারব এবং দেশ দেখার সুযোগ পাব বলে আশা করি।"