উন্নত প্রযুক্তি কিভাবে প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করছে
চেং বলেন, ‘এটি একটি জয়েন্ট এবং একটি পা-এর মোট পদক্ষেপের সংখ্যা দেখায়। তিন মাসেরও কম সময়ে, আমি প্রায় চার লাখ পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে এটি আমার জীবনধারাকে পরিবর্তন করেছে এবং গভীর স্তরে, এটি আমার মানসিকতাকেও পরিবর্তন করেছে। এখন আমি আরো আত্মবিশ্বাসী হয়েছি।’
উত্তর-পূর্ব চীনের লিয়াওনিং প্রদেশে, প্রযুক্তি শাও হাইপেং-এর জীবনকেও বদলে দিয়েছে, তিনি ২০১৭ সালে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার পর উচ্চ প্যারালেজিয়ায় ভুগছিলেন।
একটি এক্সোস্কেলটন রোবটের সাহায্যে, তিনি আবার উঠে দাঁড়ান! এমনকি ২০২২ সালের বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিকের টর্চ রিলেতেও অংশ নিয়েছিলেন। এখন ক্রাচের সাহায্যে স্বাধীনভাবে হাঁটতে পারেন শাও।
শাও বলেন, তিনি কখনই ভাবেননি যে, তিনি এই স্তরে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। শুরুতে, তিনি কেবল মেশিনে দাঁড়াতে পারতেন, এবং তা তাকে হাঁটাতে লাগল। তারপর তিনি হাঁটার মেশিনটিকে অনুসরণ করতে পারতেন এবং এখন তিনি স্বাধীনভাবে হাঁটতে পারেন। এই মেশিনটি তার মত প্রতিবন্ধীদের জন্য খুবই সহায়ক।
এদিকে, অনেক প্রতিবন্ধী হুইলচেয়ারের মাধ্যমে চলাফেরা করেন। আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন এই খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
হুইলচেয়ার নেভিগেশন পরিষেবাগুলো চীনে নেভিগেশন অ্যাপে চালু করা হয়েছে, যা চলাফেরার সীমাবদ্ধতা রয়েছে- এমন মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে সহজ করেছে।
হুইলচেয়ার নেভিগেশন পরিষেবা সম্প্রতি শুধুমাত্র বহিরঙ্গন বাধা-মুক্ত রুট নয় বরং কিছু বড় শপিংমলের অভ্যন্তরীণ রুটেও প্রসারিত হয়েছে, যা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীরা যেখানে তারা বাধা-মুক্ত দরজা, লিফট ও বাথরুম আছে, তারা মোবাইলফোনে খুঁজে বের করতে পারে।