অবকাঠামো নির্মাণ খাতে চীন-সার্বিয়া সহযোগিতা
সম্প্রতি সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের সুরচিন এলাকায়, দেশটির জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং তাঁর ভাষণে প্রকল্পের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আড়াই বছর পর, সার্বিয়া ইউরোপ, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামগুলোর একটির মালিক হবে; দেশটির জনগণ আরও উচ্চমানের ক্রীড়া স্থাপনা ও পরিষেবার অধিকারী হবে। তিনি সার্বিয়ার উন্নয়নে ব্যাপক সমর্থনের জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান এবং চীনা বন্ধুদের সাথে ‘মহান প্রকল্প’-টির সুষ্ঠুভাবে শেষ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সার্বিয়া জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম এবং বিশ্ব মেলা প্রদর্শনীকেন্দ্র—এই দুটি প্রকল্প দেশটির অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে আছে। পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অফ চায়না (পাওয়ার চায়না) এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, দুটি প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ শেষ হবে। তখন, ফুটবল স্টেডিয়ামটি ৫২ হাজার দর্শক ধারণক্ষম হবে। আর, প্রদর্শনীকেন্দ্রটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থানগুলোর অন্যতম হবে। ২০২৭ সালে বেলগ্রেড প্রফেশনাল এক্সপো এই কেন্দ্রেই আয়োজন করার হবে।
ফুটবল স্টেডিয়ামের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ এবং অন্যান্য অতিথিরা স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে ফুটবলে স্বাক্ষর করে কংক্রিটে রাখেন। এমন বৈশিষ্ট্যময় পদ্ধতিতে স্টেডিয়ামের জন্য ভিত্তি স্থাপন করার লক্ষ্য হলো, প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য শুভ কামনা জানানো।
বিশ্ব মেলা পার্কের নির্মাণ সাইট বেশ ব্যস্ত। এক-একটি বিরাট পাইল মেশিন গর্জে উঠছে। চীন ও সার্বিয়ার নির্মাণকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। ড্যানিয়েল গেলমানোভিচ বললেন, তিনি প্রকল্পের বাস্তবায়নকাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাজ শেষ হবার পর বেলগ্রেডে এটি হবে ল্যান্ডমার্ক স্থাপত্য। এতে শহরের ভাবমূর্তি যেমন উন্নত হবে, তেমনি এখানকার অর্থনীতিও উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে। তিনি চীনা প্রতিষ্ঠানকে তাদের জন্য মূল্যবান কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ জানান। কারণ, আয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানও ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে স্থানীয়দের।