ডিজিটাল রিডিং প্রতিবেদন পড়ার নতুন প্রবণতা প্রদর্শন করে
মোবাইল ফোন বের করে অ্যাপের মাধ্যমে বই পড়া যায়। হেডফোন পরে অন্যদের বই পড়ার অডিও শোনা যায়। ডিজিটাল রিডিংয়ের এ সময়ে আমরা আরও বেশি পদ্ধতিতে বই ‘পড়তে’ পারি।
সম্প্রতি ইউননান প্রদেশের খুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় পাঠ সম্মেলন এবং সেখানে প্রকাশিত হয় ২০২৩ চীনা ডিজিটাল রিডিং প্রতিবেদন। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে চীনে ডিজিটাল রেডিং বাজারের আকার ছিল ৫ হাজার ৬৭০ কোটি ইউয়ান এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৭ কোটি।
কে বই পড়ে, কীভাবে পড়ে এবং কী পড়ে— তা নিয়ে এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা চীনে ডিজিটাল রিডিংয়ের নতুন কিছু ধারা খুঁজে পাই।
প্রথমে কে বই পড়ে?
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালের তুলনায় ডিজিটাল রিডিংয়ের ব্যবহারকারী ৭.৫৩ শতাংশ বেড়েছে, আর সব নেটিজনের মধ্যে তাদের অনুপাত ৫২.১৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নেটিজনের মধ্যে ডিজিটাল রিডিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যা ডিজিটাল রিডিং শিল্পের উত্সাহব্যঞ্জক বিস্তৃতি দেখিয়েছে।
এই ৫৭ কোটি ডিজিটাল রিডিং ব্যবহারকারীর মধ্যে ১৯-৪৫ বছর বয়সীর অনুপাত সবচেয়ে বেশি, ৬২.৭ শতাংশ। পাশাপাশি ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যবহারকারীর অনুপাত ২০২২ সালের ২.৭৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালের ৪.২ শতাংশ হয়েছে।
প্রবীণ ব্যবহারকারীর অনুপাত বেড়েছে তার মানে প্রবীণরা বই পড়তে আগ্রহী এবং প্রবীণ পাঠ-বাজারের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিজিটাল রিডিংয়ের ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা ডিজিটাল রিডিং বাজারের আকারও প্রসারিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে চীনা ডিজিটাল রিডিং বাজারের আয় ২০২২ সালের তুলনায় ২২.৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, যা গেল ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি।
চায়না অডিওভিজ্যুয়াল অ্যান্ড ডিজিটাল পাবলিশিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ভাইস চেয়ারম্যান চাং ই চুন বলেন, একদিকে, চীন সরকার মানুষের ডিজিটাল সাংস্কৃতিক সাক্ষরতা জোরদার করতে ভালোমানের ডিজিটাল পণ্য প্রদান করে, আর অন্যদিকে অডিও পড়া, পেশাদার পড়া ও স্বাভাবিকপড়াসহ নানা পড়ার পদ্ধতি সব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অ্যাপে বিজ্ঞাপন যোগ দিলে এ বাজারের আয় আরও বেশি হবে।