প্রেসিডেন্ট সি’র বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব ও তার প্রভাব
গত দুই বছরে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বারবার বিশ্বকে, বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাবের ধারণাগত অর্থ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী এ প্রস্তাব এখন ১০০টিরও বেশি দেশ এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা দ্বারা সমর্থিত এবং স্বীকৃত হয়েছে এবং অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে চীনের বিনিময় এবং সহযোগিতার অনেক দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাবের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমানভাবে বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে “২০২৪ বোয়াও এশিয়া ফোরাম বার্ষিক সম্মেলনের একটি সাব-ফোরামে, ইন্টারঅ্যাকশন এবং কনফিডেন্সের মহাসচিব কাইরাত সারাইবাই বলেন, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগের ‘ছয়টি অবিচল থাকার বিষয়’ এবং বর্তমানে সবচেয়ে বিশিষ্ট এবং জরুরি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা উদ্বেগের সম্পর্কে প্রস্তাবিত সহযোগিতার জন্য ২০টি মূল নির্দেশনা দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ সমাধানের একটি বিশ্বাসযোগ্য এবং সম্ভাব্য কাঠামো প্রদান করে।
সৌদি পণ্ডিত আবদুল আজিজ শাবানি বিশ্বাস করেন যে, ঐক্য ও সহযোগিতা, উন্মুক্ততা এবং অন্তর্ভুক্তি, ভাগ করা নিরাপত্তা, এবং বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ সমর্থিত সাধারণ উন্নয়নের ধারণা আজকের নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক ধারণা প্রদান করে।
গাজায় হঠাৎ শুরু হওয়া যুদ্ধ কয়েক মাস ধরে চলছে, এবং সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়েছে। “আমাদের স্বাভাবিক জীবন দরকার, অবিরাম যুদ্ধ নয়”, এটি এখন মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের সাধারণ আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল নতুন দফা সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বারবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল পরিস্থিতির জন্য চীনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। গত বছরের নভেম্বরে, প্রেসিডেন্ট সি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে ব্রিকস নেতাদের বিশেষ ভিডিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং তিনটি ‘জরুরি অগ্রাধিকার’ প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি জাতিসংঘে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস’ স্মারকসভায় অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের মূল বিষয়কে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন এবং ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানকে ‘দুই-রাষ্ট্র’ তত্ত্বের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেন।
ফিলিস্তিনের আল-কুদস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহমেদ রফিক আওয়াদ বলেন, “চীন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতায় শক্তি যোগায় এবং সবসময় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে তা আমরা সবাই দেখি ও জানি।”
এটি চ্যালেঞ্জে পূর্ণ একটি যুগ, তবে এটি একটি আশায় পূর্ণ যুগও বটে। চীন দৃঢ়ভাবে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবং একটি উন্নত ভবিষ্যত তৈরি করতে বিশ্বের সকল শান্তিপ্রিয় এবং সুখ-সন্ধানী দেশ ও জনগণের সাথে হাত মেলাবে।