চীনে চাষ শিল্পে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ
চ্য চিয়াং প্রদেশ চীনের ঐতিহ্যবাহী চা চাষের অঞ্চলগুলোর অন্যতম। পুরানো গ্রামগুলোকে এখন আধুনিক রূপ নেওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছেন।
এপ্রিল মাসে ছিংমিং বা সমাধি পরিস্কার উত্সবের সময়টাকে চা সংগ্রহের সেরা মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কৃষকদের জন্য, এটি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। চায়ের দামও প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়।
আয়ের জন্য চা চাষের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৩০টি সমবায়ের বাড়ি--চ্য চিয়াং-এর ছুনচিয়ান গ্রাম। এখন কৃষকরা এখানে চা তুলতে ব্যস্ত আছেন। পরে সেগুলো বাছাই করে বাজারে পাঠাবেন। এলাকাটি ১৫০ বছরের পুরনো চা-চাষের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে। এখানে ৩০০ ধরনের চা উত্পাদিত হয়।
প্রচুর কাজের চাপের কারণে, চা প্রক্রিয়াজাতকরণের বেশিরভাগ কাজ এখন আর হাতে করা হয় না, করা হয় মেশিনে। এতে উত্পাদনও বেড়েছে, কৃষকের কষ্টও কমেছে।
২৬ বছর বয়সী পিং চিয়াই, স্থানীয় থানায় বড় হয়েছেন এবং তার দাদা-দাদিদের হাতে চা পাতা ভাজতে দেখেছেন। ২০১৯ সালে শাংহাইতে তার চাকরি ছেড়ে দেন তিনি এবং একটি পুরানো গুদামে রূপান্তরিত করে কমিউনিটির প্রথম চায়ের দোকান খুলতে বাড়িতে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, "আমাদের শহরে ৬০০ হেক্টরের বেশি চা চাষের জমি রয়েছে এবং প্রতিটি পরিবারেরই কিছু না কিছুর মালিকানা রয়েছে। চা তৈরির ঐতিহ্যবাহী হস্তনির্মিত সরঞ্জামগুলোকে উন্নত করা হয়েছে। তবে, প্রতিটি পরিবারের চা বাছাই এবং তৈরির জন্য আলাদা মান ছিল। তারা শুধুমাত্র তাদের চা বিক্রি করে, স্থানীয় বাজারে, দাম নির্ধারণের কোনো ক্ষমতা ছাড়াই।”
চা শিল্প ছুনচিয়ান গ্রামে ৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। চা চাষ থেকে লাভের পরিমাণ বাসিন্দাদের আয়ের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি। ২০২০ সালে, কৃষিজমি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন প্রযুক্তি চালু করা হয় এবং ছুনচিয়ান চা শিল্প সরকারি ভর্তুকিও পায়। পরের বছর, বসন্তের চা উত্পাদনে ১৩.২ কোটি ইউয়ান (প্রায় ১৮.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার) আয় হয়েছিল।