কালো জমিতে নতুন কৃষক
চাং সি তোং বলেন, “ই-কমার্সের উত্তাপের কারণে আমার নতুন ধারণা হয়েছে।” এক বছরের বেশি সময় ধরে শেখার পর তিনি রুটি তৈরির পদ্ধতি আয়ত্ত করেছেন। ২০২০ সালে তিনি ১০ জনেও বেশি নারীকর্মী নিয়ে রুটি তৈরি শুরু করেন। লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে বাজার উন্মোচন করেছেন এবং লক্ষণীয় মুনাফা অর্জন করেছেন চাং সি তোং।
বর্তমানে চাং সি তোং’র সৃষ্ট ‘চিন সিং ইয়ে’ নামের ব্র্যান্ডের রুটির বাজারে ভালো কাটতি। দিনে তিনি চার শ’র মতো অর্ডার পান। বছরে তিনি ১ কোটি রুটি বিক্রি করেন, যা থেকে ৩০ লাখের বেশি আয় করা সম্ভব হয়েছে। ৩০ জনের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বার্ষিক ৩০ হাজার ইউয়ান উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লেই লুং চিয়াংসহ নানা প্রদেশ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশক্ষিণের মাধ্যমে কৃষকদের মাটি বিশেষজ্ঞ বানিয়েছেন।
ছি ছি হা’এর শহরের কান নান উপজেলার চু হোং গ্রামে কৃষক ইয়ুন চুং কুও বসন্তকালীন বপনের জন্য প্রস্তুত নিচ্ছেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বসন্তকালীন বপনের জন্য কেনাকাটা করায় তিনি অভ্যস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “উপজেলায় প্রশিক্ষণ ক্লাসে অংশ নিতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। সেখান থেকে আমি অনেক বপন ও পরিচালনার প্রযুক্তি শিখেছি।”
এখন তিনি একজন সাধারণ কৃষক থেকে সমবায় প্রতিষ্ঠান পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। ২০১৯ সালে ইউয়ান চুং কুও’র সমবায় প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনা শুরু করে। গ্রামবাসীরা যারা শেয়ার নিয়েছেন তারা বড় আকারের ভূমি ব্যবস্থাপনার ভালো ফল পেয়েছেন। এই বছর, সমবায় ৩ হাজার ৬৬৬ একর জমির জন্য একটি ট্রাস্ট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে তাদের জীবন দিন দিন উন্নত হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কান নান উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ৪ হাজার জনের বেশি নতুন ধরণের কৃষককে লালন করেছে। ২ লাখ স্থানীয় কৃষকের জন্য সেবা প্রদান করেছে সংস্থাটি।