কালো জমিতে নতুন কৃষক
বসন্তকালে সারা বছরের পরিকল্পনা করতে হয়। ভোর সকালে চীনের হেই লুং চিয়াং প্রদেশের সুই হুয়া শহরের লুং শান গ্রামের একটি নদীর ধারে মাছের পুকুরে গ্রামটির সিপিসি’র সম্পাদক কুও ইয়ু বিন ও গ্রামবাসীরা বরফ ভেঙে মাছ ধরতে ব্যস্ত রয়েছেন।
কুও ইয়ু বিন উত্তেজিত হয়ে আমাদের সাংবাদিককে বলেন, “অর্ডার তুষারের মতো আসে। চীনের বসন্ত উত্সবের আগে থেকে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্রাম পাইনি।”
লুং শান গ্রামে রয়েছে সমৃদ্ধ সম্পদ। নি নদী গ্রাম ঘিরে বয়ে গেছে। আগে গ্রামবাসী পুকুরকে ধানের ক্ষেত হিসেবে ব্যবহার করতো। তবে তা থেকে আয় বেশি ছিল না। আয় বৃদ্ধি করতে কুই ইয়ু বিন গ্রামবাসীদের নিয়ে পালাক্রমে মত্স্য ও ধান চাষ শুরু করেন। তার পরিচালনায় ২২ পরিবার মত্স্য চাষে যোগ দিয়েছেন এবং ঠান্ডা পানির মাছের খামার প্রতিষ্ঠা করেছে। মত্স্য পণ্য বেইজিং, কুয়াং তোং ও সি ছুয়ান প্রদেশ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। যা থেকে বার্ষিক মুনাফা ছিল ৩৭ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। কুও ইয়ু বিন চাষী থেকে নতুন ধরণের কৃষকে পরিণত হয়েছেন।
চীনের গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের নীতি প্রবর্তনের পরে অনেক দক্ষ কৃষক প্রশিক্ষণ ও সৃজনশীলতার সমর্থনে ধীরে ধীরে সংস্কৃতি, প্রযুক্তি এবং ব্যবসা ভালো জানেন এমন নতুন ধরণের কৃষকে পরিণত হয়েছে, যা গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের জন্য নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে।
চীনের তা ছিং শহরের লিন হোং ছি উপজেলার একটি প্রক্রিয়াজাত কারখানায় চাং সি তোং গ্রামবাসীদের কাছে লাইভে পণ্য বিক্রি করছেন। “আত্মীয়রা, রুটি খেতে চান, তবে ময়দা থেকে রুটি তৈরি করতে না চান, তাহলে আমার লাইভে রুটি কিনুন। ভালো রুটি পাওয়া যাবে এবং দ্রুত পাঠানো হয়।”
চাং সি তোং’র বয়স ৪০ বছর। তার পুর্বপুরুষ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে হোং ছি উপজেলার সিয়ান ফেং গ্রামে বাস করেন। গ্রামে প্রত্যেকের আবাদি জমির পরিমাণ ০.৩ হেক্টরের চেয়ে কম। তিনি চাইনিজ ভেষজ ওষুধ এবং অন্যান্য ফসলের আবাদ করেছেন, কিন্তু কয়েক বছর চেষ্টা করেও তেমন সফলতা পাননি।