ছোট কাঁচির কারিগর থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
হু পিং স্মরণ করে বলেন, “পোশাক ডিজাইন ও তৈরি করতে ১৪ ঘন্টা দেওয়া হয়। এটা খুব কম সময়। মাঝখানে কোনও ভুল হলে সময় মতো আর তা শেষ করতে পারতাম না।”
উনত্রিশটি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিযোগীদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ের পর হু পিং ৫টি প্রতিযোগিতার বিষয় শেষ করেন এবং মোট ৭৪৯ নম্বর পেয়ে এ ধারার চ্যাম্পিনশিপ জেতেন।
বিশ্ব পোশাক কারিগরি ধারার চীনা বিশেষজ্ঞ দলের নেতা লি নিং মনে করেন, এ প্রতিযোগিতা তরুণদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তুলবে। হু পিংও নিজের পছন্দের ক্যারিয়ার বেছে নিতে পেরেছেন।”
বেইজিংয়ের শিল্প ও বাণিজ্য কারিগরি কলেজের মহাপরিচালক উ সিয়াও মেং বলেন, “হু পিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে সবাই উৎসাহিত হয়। চীনে ৩৬০টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতেই চ্যাম্পিয়ন থাকতে পারে।”
হু পিং বলেন, পোশাকের কারিগরি বিষয়কে পছন্দ করার কারণে নিজের মহলের মধ্যে এ ব্যাপারে নিজেকে সবচেয়ে ভালোভাবে গড়ে তুলেছি এবং এখনও আরও নিখুঁত অবস্থানে পৌঁছতে চাই। এটি খুব আনন্দের ব্যাপার বলে আমি মনে করি।”
স্বপ্ন দেখা তরুণ থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং প্রযুক্তিগতভাবে নবীণ থেকে দক্ষ কারিগরে পরিণত হয়েছেন হু পিং। কারিগরদের বলিষ্ঠ ও পরিশ্রমী হবার এবং সবসময় সেরা হয়ে ওঠার চেতনা হু পিংয়ের মতো তরুণরা ধরে রেখেছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে।