আন্তর্জাতিক মহলের ব্যক্তিদের চোখে চীনা অর্থনীতির সম্ভাবনা বিশাল
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফরি স্যাক্স মনে করেন, চমৎকার নির্মাণশিল্প এবং উন্নত প্রযুক্তির বদৌলতে চীনে অধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে, যেমন পরিবেশ সংরক্ষণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চীন বিশ্বের অগ্রণী স্থানে আছে। ফাইভ-জি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ফটোভোলটাইক ও বায়ুশক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন অগ্রণী। এসবই আগামী কয়েক বছরে চীনের অর্থনৈতিক শক্তির উত্স হবে।
“সবই হতে পারে — চীনের অসাধারণ যাত্রা এটিই প্রমাণ করেছে।” কথাগুলো বলছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ। ১৯৭৮ সালে চীনের ৭৭ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ছিল। কিন্তু ঠিক সে বছরই চীন কঠিন সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করে এবং মৌলিকভাবে উন্নয়ন পথ পরিবর্তন করে।
চীন বিশ্বব্যাংকের প্রাপক দেশ থেকে বর্তমানে বৃহত্তম দাতা দেশগুলোর অন্যতম হয়েছে। চীনের অভিজ্ঞতাও অনেক দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। অজয় বঙ্গের মতে, উন্নয়ন পথটি দীর্ঘমেয়াদী। প্রত্যেক দেশ পরবর্তী দেশের জন্য এগিয়ে যাবার পথ আলোকিত করে। চীন এই পথের অগ্রণী।
চীনের অর্থনীতির সম্ভাবনা বিশাল এবং প্রাণশক্তি ও বলিষ্ঠতা যথেষ্ট। ঠিক এ কারণে, আরও বেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান চীনের ব্যাপারে ‘আস্থাশীল’। বিশ্বের জন্য চীন আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। ইভান গ্রিনবার্গ যেমনটি বলছিলেন, একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন দেওয়া এবং বিনিয়োগ করা বিশ্বের ‘ইতিবাচক শক্তি’ চীন।