‘আফ্রিকার ছাদে’ চলছে চীনা বৈদ্যুতিক মিনিবাস
ইথিওপিয়ার পরিবহন ও লজিস্টিক মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে জ্বালানি আমদানি করতে দেশটি প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। ওই জ্বালানির অর্ধেকেরও বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল গাড়িতে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বে বাড়তে থাকা জ্বালানির দাম মোকাবিলা করতে দেশটির মন্ত্রণালয় থেকে ডিজেল ও তেলচালিত গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। এর আগে ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে দেশটির সরকার দশ বছরের মধ্যে বিদেশ থেকে ৪৮০০টি বৈদ্যুতিক পাবলিক বাস এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির ঘোষণা করে। যাতে ফসিল-জ্বালানিচালিত গাড়ির ওপর দেশটির নির্ভরশীলতা কমানো যায়।
জানা গেছে, বৈদ্যুতিক মিনিবাস অ্যাসেম্বলিং করা ছাড়া বেলানে কিন্দি মেটাল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি চীন থেকে আমদানিকৃত ১২ মিটার লম্বা বাসও জোড়া দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা দেশটিতে বাড়তে থাকা বিদ্যুৎচালিত বাহনের চাহিদা পূরণ করছে।
প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক শেভালিয়ার মনে করেন, ইথিওপিয়ায় বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহারিক ভবিষ্যৎটা সুবিশাল। আরও বেশি চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহন স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির সরকার জ্বালানি সাশ্রয় করার পাশাপাশি দূষণ কমানোর নানা প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়তা বাড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে কম্পানিটি আলাদা আলাদা পার্টস আকারে চীন থেকে বৈদ্যুতিক যান আমদানি শুরু করে। এতে আমদানির খরচও ব্যাপকভাবে কমে। এ ছাড়া সম্পূর্ণ গাড়ির আমদানি শুল্ক প্রায় ১৫ শতাংশ হলেও বিচ্ছিন্নভাবে যন্ত্রাংশ আমদানিতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না।
ইথিওপিয়া সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি হস্তান্তর বেগবান করতে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে, এটি তারই একটি অংশ।