‘হৃদয় পাস’ ব্যবহার করে বাগদাদের ‘পরিবহন সীমাবদ্ধতা’ অতিক্রম করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান
ঠিকা পাওয়া, সমন্বয় ও যোগাযোগ এবং খসড়া চুক্তি প্রণয়ন করা......চীনে পড়াশোনা করা ইরাকি প্রকৌশলী ইব্রাহিম প্রকল্পের নির্মাণসাইটে ব্যস্ততার সাথে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এ রকম ব্যস্ত কিন্তু পরিপূর্ণ অনুভূতি পছন্দ করি। এখানে আমি চীনের আধুনিক সেতু নির্মাণ প্রযুক্তি দেখতে পাচ্ছি এবং চীনা মানুষদের বন্ধুত্ব, পরিশ্রম ও ক্ষমাসুন্দর নৈতিকতা উপলব্ধি করতে পারছি।”
আধুনিক নকশা, নির্মাণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের কারণে ইরাকের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিসুর প্রকল্প পরিদর্শন করেন। ট্রান্সটেক ইন্টারন্যাশনাল ৩শ’র বেশি স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। চীনারা বলে, ‘একজন মানুষকে মাছ দেওয়ার চেয়ে মাছ ধরতে শেখানো উত্তম’। আমরা আশা করি, নিসুর প্রকল্প কেবল ইরাকের পৌরসভার পরিবহন প্রকল্পের উদাহরণই তৈরি করবে না, বরং দেশটির জন্য আরও বেশি স্থানীয় দক্ষ কর্মী লালন করবে, চীনা প্রযুক্তি উর্বর জমিতে এনে আরও ভালোভাবে ইরাকের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে সহায়তা দেবে।”
বিকেল পাঁচটার দিকে বাগদাদের সন্ধ্যায় যানজট শুরু হয়। রাইড-হেলিং ড্রাইভার লতিফ নিসুর ছেদে অপেক্ষা করার সময় মোবাইল ফোন দিয়ে নির্মাণসাইটের একটি ছবি তুলেছেন।
“এখানে বাগদাদের সবচেয়ে জানজটপূর্ণ রোড। আমি জানি, চীনা প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য একটি বিশাল ত্রিমাত্রিক পরিবহন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার দিনটির অপেক্ষায় আছি। চীনা নির্মাণের প্রতি আমাদের আস্থা পরিপূর্ণ।” কথা বলতে বলতে লতিফ ছবিটি সামাজিক তথ্যমাধ্যমে পোস্ট করছিলেন। তিনি বিশেষ করে ‘চীনা নির্মাণ” লিখেছেন এবং একটি ‘লাইক” চিহ্নও দিয়েছেন।