‘হৃদয় পাস’ ব্যবহার করে বাগদাদের ‘পরিবহন সীমাবদ্ধতা’ অতিক্রম করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কেন্দ্রীয় এলাকা নিসুর স্কোয়ারের পাশে দুটো ক্রেন ৩০ মিটার লম্বা ও ৩১ টন ওজনের প্রিফেব্রিকেটেড বিম নতুন নির্মিত স্তম্ভের ওপরে রাখছে। মার্চ মাসে বাগদাদের ভোর কিছুটা ঠাণ্ডা। কিন্তু নির্মাণসাইটে প্রাণবন্ত দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
একই সময় ট্রান্সটেক ইন্টারন্যাশনাল-নির্মিত নিসুর ত্রিমাত্রিক যাতায়াতের সংযোগস্থল প্রকল্পের মহাব্যবস্থাপক কুও শিয়াওওয়ে নিরাপত্তা হেলমেট পরে, হাতে নকশা ধরে গার্ডার তোলার প্রতিটি পদক্ষেপের অগ্রগতি দেখছেন।
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার পর বাগদাদের সড়ক অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়। দীর্ঘকাল ধরে যে যানজট পরিস্থিতি ছিল, তাতে স্পষ্ট কোনও উন্নতি হয়নি।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিসুর ত্রিমাত্রিক যাতায়াতের সংযোগস্থল প্রকল্প শুরু হয়। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পে রয়েছে সেতু, রাজপথ, রেলপথ, সুড়ঙ্গ ও আন্ডারপাস টানেলের ৪-স্তর কাঠোমো। এর মধ্যে ২৪ মিটার পর্যন্ত গভীরে কাজ হবে । প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবার পর বাগদাদের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের যানজট ও শব্দদূষণ দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর জন্য আন্ডারপাস টানেলের ৪টি স্তর ‘২ এলিভেটেড+৫ সুড়ঙ্গ’ ত্রিমাত্রিক পরিবহন সমাধান পরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়। কুও শিয়াওওয়ে জানান, তারা শল্যচিকিত্সকের মতো রাজধানীর পরিবহনের ‘হৃদয়ে’ ‘হৃদয় পাস’ করার মাধ্যমে বাগদাদের ‘পরিবহন সীমাবদ্ধতা’ অতিক্রম করছে।
এছাড়া নিসুর প্রকল্পের নিকটবর্তী পুরনো ভূগর্ভস্থ ইউটিলিটি ও তার পরিবর্তন ও সংস্কার করা হবে। কাজ সম্পন্ন হবার পর নিকটবর্তী অঞ্চলের পৌরসভার জনসেবা সক্ষমতা উন্নীত হবে এবং কার্যকরভাবে স্থানীয় জীবিকা উন্নত হবে।