রোববারের আলাপন:শুভ চীনা নববর্ষ!
আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আপনারা ভাল আছেন। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আকাশ ও তৌহিদ।
আকাশ: শুভ চীনা নববর্ষ!
তৌহিদ: শুভ চীনা নববর্ষ!
আকাশ: ভাই, আমি ভাবছি, বসন্তের ছুটিতে আপনি চমত্কার সময় কাটিয়েছেন, তাইনা?
তৌহিদ: অবশ্যই! আপনি অনুষ্ঠানে যা যা বলেছেন ওই সব খাবার আমি খেয়েছি। বিশেষ করে আমি চিয়াও জি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, উপভোগ করি! অনেক মজাদার
তাহলে আমরা আরও বসন্ত উত্সবের রীতিনীতি সম্পর্কে জানতে চাই। আপনি গত অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘সান সি’র রাতে মানে নববর্ষের আগের দিন রাতে সবাই আতশবাজি ফোটায়, তাইনা? তারপর আপনারা কী কী করেন?
আকাশ: অবশ্যই ঘুমাই। কিন্তু সারা রাত আতশবাজির শব্দ থাকে এবং মনে অনেক আনন্দ থাকে। এজন্য রাতে বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারি না। সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি। খুব ভোরেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। খুশির কারণে আর ঘুমাতে পারি না, তা ছাড়া কিছু দায়িত্ব ও কাজও থাকে।
তৌহিদ: কি ধরনের দায়িত্ব?
আকাশ: হ্যাঁ, কিছু দায়িত্ব আছে। যেমন- চীনা নববর্ষের প্রথম দিনের নাম হচ্ছে ‘ছু ই’। এদিন সবাই খুব আগে ঘুম থেকে উঠে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের বাসায় গিয়ে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়। এজন্য খুব আগে উঠতে হয় এবং দাদার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে দাদাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে হয়। নববর্ষের দিন সবাইকে খুব সকালে উঠতে হয়, কারণ, প্রতিবেশীরা যদি বাসায় নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এসে দরজা বন্ধ দেখেন, তাহলে এটা ভালো নয়। তাইনা? এজন্য অবশ্যই আগে উঠতে হয়।
তৌহিদ: আচ্ছা। নববর্ষের প্রথম দিনের প্রথম খাবার, মানে নাস্তার কি কোনো রীতিনীতি আছে?
আকাশ: অবশ্যই আছে। ‘ছু ই’ মানে নববর্ষের প্রথম দিন সকালে এবং দুপুরে আবারও আগের দিনের তৈরি চিয়াও জি খেতে হয়।