প্রযুক্তির সহায়তায় ফুল চাষে সমৃদ্ধির পথে শাং তোং গ্রামবাসীরা
এ কার্যালয়ে প্রবেশ করলে দেখা যায়, পুরো দেয়ালজুড়ে খাদ্যশস্যের বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের ছবি। প্রযুক্তিবিদ ওয়াং হ্য ফেং জানান, প্রযুক্তিকর্মীরা পালাক্রমে অফিস করেন, উইচ্যাটের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশ্নের জবাব দেন এবং হটলাইনের কল ধরেন। ছুটির সময় হটলাইনের কল স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রযুক্তিকর্মীদের মোবাইলে চলে আসে। তিনি বলেন, “আমাদের কোনও ছুটি নেই। কারণ চাষবাসের কোনও ছুটি নেই। এখানে দরজা সবসময় খোলা থাকে। কৃষকরা জেলায় আসলে এখানে আসতে পারেন।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকে তু লি চি চারিদিকে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এ কার্যালয় কৃষকদের রাতের ক্লাস চালু করেছে, যার মাধ্যমে চাষবাসপ্রেমী, প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জানেন এবং পরিচালনায় দক্ষ এমন নতুন কৃষকদের গড়ে তোলা হচ্ছে। তাছাড়া জেলা পর্যায়ের সরকার কৃষি ও শিল্পের কাঠামো সুবিন্যস্ত করেছে এবং সুষ্ঠু বীজবপন এবং ভালো পদ্ধতির মাধ্যমে উত্পাদন ও উপার্জন বৃদ্ধি করছে।
ছিং পিং উপজেলা চীনের ইয়েলো নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে গুরুতর মরুকরণ হয়েছে। গত দুবছরে এ কার্যালয়ের সহায়তায় এক ক্ষেতে চার ভাগ ভুট্টা এবং ছয়ভাবে বাদাম চাষের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে, যা খুব জনপ্রিয় হয়েছে। ২০১৭ সালে পুরো উপজেলায় এমন চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ হেক্টর। বর্তমানে এ পরিমাণ বেড়ে ৬৬৬ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে চাষের ফলে হেক্টরপ্রতি যে আয় হয়, তা একক ভুট্টা চাষের তুলনায় ১৫ হাজার ইউয়ান বেশি।
মাটি পরীক্ষা ও ফর্মুলা নিষিক্তকরণ, দূষণমুক্ত সবজি চাষ, উচ্চ-দক্ষতা এবং কম বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগসহ ‘তু লি চি কার্যালয়’ এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি নতুন প্রযুক্তি এবং ৬টি নতুন মডেল প্রয়োগ করেছে। পাশাপাশি এ কার্যালয় ৯টি নতুন শিল্প গড়ে তুলেছে এবং ৭০টিরও বেশি নতুন প্রজাতির খাদশস্যের চাষ চালু করেছে, যার ফলে কৃষকদের উপার্জন ১ কোটি ইউয়ান বৃদ্ধি পেয়েছে।