সবুজ মূলাকে সোনা বানিয়েছে নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেওয়া কৃষক দম্পতি
মোবাইল ফোনকে শেলফে রেখে লাইভস্ট্রিমের পেইজে গিয়ে পরিচিত দর্শকদের অভিবাদন জানানোর পর পিছনে মাটি থেকে একটি তাজা সবুজ মূলা তুলে এ দিনের লাইভস্ট্রিম শুরু করেছেন চাং রুই।
“এ মূলা রসালো। খেতে মিষ্টি ও ঝাঁঝালো, যা ফলের মতো।” এ বিশেষ ধরনের মূলার গুণ, স্বাদ ও পুষ্টি এবং চাষের ইতিহাস, বীজের উত্স, চাষের প্রক্রিয়াসহ সব প্রক্রিয়া লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন চাং রুই।
তার আন্তরিক ব্যাখ্যা ও উপস্থাপনের কারণে লাইভস্ট্রিমে দর্শকরা খুব উৎসাহ দেখান এ মূলার ব্যাপারে। অনেকে মূলার গুণ, পাঠানোর উপায়, পাঠানোর সময় ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে চান। চাও রুই ধৈর্য্য সহাকারে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন।
“একবার লাইভস্ট্রিম করলে তা প্রায় ১ হাজার দর্শক সরাসরি দেখেন এবং ৩ লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় সে ভিডিও।” লাইভস্ট্রিম সম্পর্কে চাও রুই দম্পতি হাসিমুখে এ কথা বলেন। মূলা স্বাদ ও লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির পদ্ধতির কারণে চীনের থিয়ান চিন শহরের সিন খৌ উপজেলার সিয়াও শা ওয়ো গ্রামে বসবাসরত এ কৃষক দম্পতি সুন্দর জীবনের দেখা পেয়েছেন।
সিয়াও শা ওয়ো গ্রাম থিয়ান চিন শহরের দক্ষিণে বেইজিং-হাংচৌ মহাখালের তীরে অবস্থিত। এখানকার মাটির উপর অংশ বালি এবং নিচের অংশ এঁটেল। মহাখালের পানির কারণে এখানকার মূলা খুব মিষ্টি, যেটি নাসপতির চেয়ে ভালো’ বলে স্বীকৃত।
চাং রুই ও কুও ছিং দম্পতি জানান, তাদের পুর্বপুরুষরা বরাবরই এ শা ওয়ো মূলা চাষ করেছেন। এক সময়ে এ মূলা সড়কের ঘাটে নিয়ে খুচরা বিক্রি করতেন কিংবা পাইকারী বিক্রি করতেন তারা। তবে নিজেদের চাষ করা মূলার বিক্রি ভালো ছিল না।
২০১৮ সালে শহরের কাজ ছেড়ে গ্রামবাড়িতে কৃষিকাজ করার সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি। তারা ইয়োং ইয়োং শা ওয়ো মূলা চাষ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে শাও ওয়ো মূলা বিক্রি শুরু করেন। চাং রুই বলেন, “স্থানীয় সরকার শা ওয়ো মূলাকে জনগণের সমৃদ্ধির শিল্পে পরিণত করতে যে সহায়তা নীতি প্রবর্তন করেছে, তা দেখে আমি নিজেই ইন্টারনেট বিক্রির অভিজ্ঞতা থাকার কারণে অনলাইনে বিক্রির পদ্ধতি গড়ে তুলি।”