সরবরাহ চেইন বজায় রেখে শহরবাসীর খাবার টেবিলে হাজির হয়েছে নিং ছেংর আপেল
চীনের অন্তর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ছি ফেং শহরের নিং ছেং জেলা ইয়ান পাহাড়ের উত্তরে অবস্থিত। বর্তমানে এখানে ফলের সুবাস বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। উচ্চ সমুদ্রপৃষ্ঠ, প্রখর সুর্যালোক এবং দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক ব্যবধানের কারণে এখানকার আপেল এতো মিষ্টি। গোটা চীনে নিং ছেং আপেল খুব বিখ্যাত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিং ছেং আপেল-খাতশিল্প ক্রমশই প্রযুক্তিনির্ভর চাষ, উচ্চপর্যায়ের শ্রেণিভুক্তি, ফ্রোজেন স্টোরেজ এবং অধিক প্রক্রিয়াকরণের দিকে আগাচ্ছে। প্রতি বছরে ৯৮ হাজার আপেল চাষী এ খাত থেকে উপকৃত হন। আপেল থেকে উপার্জন কৃষকদের মোট আয়ের ৬০ শতাংশের উপরে। একটার পর একটা আপেল বর্তমানে কৃষকদের উপার্জন বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি অর্জনের সোনার ফলে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে নিং ছেং জেলায় আপেল চাষের আওতাধীন জমির আয়তন ৮ হাজার ৬৬৬ হেক্টর। ১৬টি থানায় ৩৮টি বড় আকারের আপেল কেন্দ্র এবং ১০৫টি আপেল বাগান রয়েছে। আপেল শিল্পের কারণে কৃষকদের বার্ষিক গড় উপার্জন ৬ হাজার ১শ ইউয়ান বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপেল চাষী স্যু হাই লুং আগে নিজের শূন্য দশমিক ৩ হেক্টর জমিতে আপেল চাষ করতেন। এখন তার গ্রামে গঠিত হয়েছে আপেল চাষ সমবায় সমিতি। সমবায়ের অর্থ, প্রযুক্তি ও পরিসেবার সহায়তায় তিনি আপেল চাষের অধীন জমির পরিমাণ ৯ দশমিক ৩ হেক্টরে উন্নীত করেছেন। পাশাপাশি নতুন প্রজাতির আপেল চাষও শুরু করেছেন। প্রতি বছরে স্যু হাই লুং এ থেকে উপার্জন করছেন ৫ লাখ ইউয়ানেরও বেশি।
নি ছেং জেলার সিং লুং ফার্মের দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্যু হাই লুং বলেন, আগে কৃষকরা নিজের মতো আপেল চাষ করতেন। সে সময় গুণ ও বিক্রির পদ্ধতি চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল। এখন ফার্মে সামষ্টিকভাবে চাষ, গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাসহ নানা ক্ষেত্রে মানোন্নয়ন হয়েছে। ফলে অনেক অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে এবং ভালো বিক্রি হচ্ছে। এমন কি নিজের ব্র্যান্ডও গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।