থোং নান লেবু কীভাবে জনপ্রিয় হয়েছে?
তাছাড়া লেবুর গুণ নিশ্চিত করতে অঞ্চল, উপজেলা ও গ্রাম – এই তিন পর্যায়ের তত্ত্বাবধান নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে দূরবর্তী পর্যবেক্ষণ, অনলাইনে রোগ নির্ণয় এবং তাজা ফল তোলার পরপরই ২০০টিও বেশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরীক্ষা সম্ভব হয়।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত থোং নান লেবুর চাষের আওতায় এসেছে ২১ হাজার ৩৩৩ হেক্টরেরও বেশি জমি। ২০২২ সালে এ অঞ্চলে তাজা লেবু উত্পাদনের পরিমাণ ২ লাখ ৮০ হাজার টন, যার আর্থিক মূল্য ৬০০ কোটি ইউয়ানেরও বেশি।
থোং নানের হাইটেক অঞ্চলে অবস্থিত ছোং ছিং মেং থাই বায়োটেকনোলজি কোম্পানি। এ কোম্পানির কারখানায় একটি স্বয়ঃক্রিয় লাইনে নতুন পেকটিন পণ্য তৈরি হচ্ছে। কোম্পানির অংশীদার ও প্রযুক্তি বিষয়ক পরিচালক সুন শি ছিয়াও বলেন, “এ উত্পাদন লাইনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি ছয় পদক্ষেপে লেবু বিচ্ছেদ ও নিষ্কাশন প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি আমরা নিজেরাই উদ্ভাবিত করেছি। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে লেবুর রসের থলি, বাইরের কর্টেক্স, মধ্যম কর্টেক্স, সজ্জা ও লেবুর মূল থেকে কয়েক ডজন উচ্চ মূল্য সংযোজন পণ্য নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে লেবুর শত শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।”
এ উত্পাদন লাইনে প্রতিবছর ২ হাজার টন পেকটিন তৈরি হয় এবং সি ছুয়ান ও ছোং ছিংয়ের ১ লাখ টন তাজা লেবু ব্যবহার করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজারে তাজা ফলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং পণ্যের সংযোজন মূল্য উন্নয়ন করতে থোং নান প্রক্রিয়াজাতের ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং অব্যাহতভাবে নতুন পণ্য তৈরি করছে। লেবু পানীয়, লেবু কেক, লেবু ফেসিয়াল মাস্ক ও লেবু সাবানসহ নানা পণ্য উত্পাদন করে থোং নান। বর্তমানে থোং নান লেবু থেকে পানীয়, সবুজ খাদ্য, ত্বকের যত্নপণ্য, বায়োমেডিসিন এবং স্বাস্থ্যসেবা পণ্যসহ ৫ ধরনের ৩৫০টিও বেশি পণ্য তৈরি করছে। লেবু প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৫টি ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে ১ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত থোং নান লেবু রাশিয়া, কাজাখস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ৩০টি ও বেশি দেশ ও অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে। ২০২২ সালে এ অঞ্চল থেকে লেবু রপ্তানির পরিমাণ ৩৯ হাজার ৮শ টন ছাড়িয়ে যায়, যার আর্থিক মূল্য ৩২ কোটি ৯০ লাখ ইউয়ান।