শত বছরের এমজি আরও বেশি প্রভাব সৃষ্টি করবে
গাড়ি শিল্পে ১০-১২ বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লরেন্স লেবাননে গাড়ি মার্কেটিংয়ের একজন কর্মী। কয়েক বছর আগে তিনি সাইক মোটর কর্পোরেশন লিমিটেডের (সাইক মোটর) মরিস গ্যারেজেজ ব্র্যান্ডের (এমজি) মধ্যপ্রাচ্য শাখায় যোগ দেন। এর আগে চীনা বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার যোগাযোগে সময় তাদের ব্যাপারে ‘ইতিবাচক’ মনোভাব তৈরি হওয়ার কারণে তিনি আবার চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা চান।
আসলে এমজি ১৯২৪ সালে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এমজির উন্নয়ন দেশটির এমনকি বিশ্বের গাড়ি শিল্পের উন্নয়নের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাক্ষী। ২০০৫ সালে এমজি চীনে আসে। তারপর ব্র্যান্ডটি ধাপে ধাপে পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
২০০৭ সালে ৬০টি নতুন এমজি গাড়ি চিলির বাজারে রপ্তানি করা হয়। তখন থেকে এমজির ‘বিদেশে যাওয়া’র যাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। পরবর্তী ১৬ বছরে এমজির গাড়ি ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ শতাধিক দেশে বিক্রি হয়। এর মধ্যে ১৭টি দেশে একক ব্র্যান্ডের বিক্রির তালিকায় প্রথম দশে ছিল এমজি। ‘২০২২ সালে বিদেশিদের সবচেয়ে পছন্দের চীনা ব্র্যান্ড’ নির্বাচিত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে সাইক মোটরের ‘বিদেশে যাওয়া’র প্রতিনিধিতে পরিণত হয় এমজি।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে এমজি ফিরে আসার পর ২ কোটির বেশি ব্যবহারকারীকে কভার করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রতি গ্রাহকদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক। লরেন্সের মতে, এর কারণ হলো চীনা ব্র্যান্ডের গাড়িতে সবচেয়ে অগ্রণী ফাংশন থাকে কিন্তু দাম খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক।
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর ‘পাঁচটি লিঙ্ক’ কাঠামো সংযোগের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের অবাধ বাণিজ্য, আর্থিক সংহতি এবং অবকাঠামো সংযোগসহ বিভিন্ন দিকের সহযোগিতা উন্নত হয়েছে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য চীনের গাড়িনির্মাতাদের বড় বিদেশি বাজারে পরিণত হয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আরও বেশি গ্রাহক ও ডিলার চীনা গাড়ি ব্র্যান্ড বাছাই করছেন।