রোববারের আলাপন- বহিরঙ্গন খেলাধুলা আরও উন্নত করবে চীন
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিতীয়ত, উন্মুক্ততা বজায় রাখতে হবে। আমাদের উচিত উন্মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রক্ষা করা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-কেন্দ্রিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা সমর্থন ও জোরদার করা, বৈশ্বিক শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যার রাজনীতিকরণের বিরোধিতা করা, আঞ্চলিক অর্থনীতির সমন্বয় এগিয়ে নেওয়া এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উন্মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এগিয়ে নেওয়া।”
তিনি বলেন, চীন সাফল্যের সংগে তৃতীয় ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ ফোরাম আয়োজন করেছে, যেটি বিশ্বের আন্তঃসংযোগে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট সি বলেন, তৃতীয়ত, সবুজ উন্নয়নকে বজায় রাখতে হবে। আমাদের উচিত মানবজাতি ও প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা এবং সবুজ নিম্ন-কার্বন রূপান্তর আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া। চীন সবুজ উন্নয়নের পথে অবিচল রয়েছে। আমরা এপেক সবুজ কৃষি, টেকসই শহরসহ নানা সহযোগিতামূলক প্রস্তাব উত্থাপন করেছি এবং আরও পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নির্মাণের জন্য চীন কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “চতুর্থত, ভাগাভাগির নীতিতে অবিচল থাকতে হবে। আমাদের উচিত ‘টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘ এজেন্ডা ২০৩০’ সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করা, উন্নয়ন কৌশলগুলোর সংযোগ জোরদার করা এবং একযোগে বিশ্বের উন্নয়নের ঘাটতি দূর করা। অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এপেকের কার্যক্রমের প্রতি চীন তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে, যাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অভিন্ন উন্নয়ন অর্জন করা যায়।”
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়নের মাধ্যমে চীন সার্বিকভাবে শক্তিশালী দেশ নির্মাণকাজ ও জাতিগত পুনর্জাগরণ এগিয়ে নিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ, উচ্চ গুণগত মানের উন্নয়ন এবং উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণে চীন অবিচল থাকবে। চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিকায়নের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে চীন। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতায় আরও সুফল অর্জনে চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে একযোগে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আগামীতে ‘সোনালী ৩০ বছর’ সৃষ্টি করতে চায় চীন।