দেশ, পরিবার ও জনগণের প্রতি সি চিন পিংয়ের গভীর অনুভূতি
আজ চীনের ঐতিহ্যবাহী মধ্য-শরৎ উত্সব। এ উত্সবটি প্রাচীনকালে স্বর্গীয় ঘটনা এবং পূর্বপুরুষদের উপাসনা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। এটি চন্দ্র দেবতার উপাসনা থেকে তৈরি হয়েছে। চীনে "পূর্ণিমা" মানে "পারিবারিক ঐক্য"। হাজার হাজার বছর ধরে, মধ্য-শরৎ উত্সব চীনা জনগণের পুনর্মিলন এবং সম্প্রীতির সুন্দর সাধনা বহন করে আসছে এবং তাদের নিজ শহরে আত্মীয়দের আকাঙ্ক্ষাকে মূর্ত করে তুলেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রায়শই নিজের জন্মস্থান নিয়ে কথা বলেন।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে মধ্য-শরৎ উৎসবের সময়, কাজাখস্তানের নাজারবায়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কনফারেন্স হলে, "সম্মিলিতভাবে 'সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট' নির্মাণ" বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় সি চিন পিং সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন- "আমার জন্মস্থান শায়ানসি, প্রাচীন সিল্ক রোডের শুরুতে অবস্থিত। এখানে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে, আমি পাহাড়ে উটের ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পাই এবং দেখতে পাই মরুভূমির নির্জন এলাকায় ধোঁয়া উড়ছে। এসব আমার কাছে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ মনে হয়।"
শায়ানসি হল সি চিন পিং-এর জন্মস্থান, যেখানে তিনি বহু বছর ধরে কাজ করেছেন এবং বসবাস করেছেন। গত শতাব্দীর ৬০ এর দশকের শেষ দিকে, সি চিন পিং শায়ানসি প্রদেশের ইয়ানআনের লিয়াংজিয়াহ্য নামে একটি ছোট গ্রামে কৃষক হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং সেখানে সাত বছর কাটিয়েছিলেন। তিনি তার পরিবার থেকে দূরে থাকতেন এবং একটি গুহায় শুতেন, ভেড়া পালতেন, খড় কাটতেন ও কয়লা তুলতেন। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে, লিয়াংজিয়াহ্য ত্যাগ করার আগে, সি চিন পিং গ্রামবাসীদের বলেছিলেন: "আমি এখান থেকে রওনা দেবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য শহরে ফিরে যাব। লিয়াংজিয়াহ্য আমাকে যা দিয়েছে তা আমি কখনই ভুলবো না।"