বাংলা

দেশ, পরিবার ও জনগণের প্রতি সি চিন পিংয়ের গভীর অনুভূতি

CMGPublished: 2023-09-29 18:53:11
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আজ চীনের ঐতিহ্যবাহী মধ্য-শরৎ উত্সব। এ উত্সবটি প্রাচীনকালে স্বর্গীয় ঘটনা এবং পূর্বপুরুষদের উপাসনা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। এটি চন্দ্র দেবতার উপাসনা থেকে তৈরি হয়েছে। চীনে "পূর্ণিমা" মানে "পারিবারিক ঐক্য"। হাজার হাজার বছর ধরে, মধ্য-শরৎ উত্সব চীনা জনগণের পুনর্মিলন এবং সম্প্রীতির সুন্দর সাধনা বহন করে আসছে এবং তাদের নিজ শহরে আত্মীয়দের আকাঙ্ক্ষাকে মূর্ত করে তুলেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রায়শই নিজের জন্মস্থান নিয়ে কথা বলেন।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে মধ্য-শরৎ উৎসবের সময়, কাজাখস্তানের নাজারবায়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কনফারেন্স হলে, "সম্মিলিতভাবে 'সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট' নির্মাণ" বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় সি চিন পিং সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন- "আমার জন্মস্থান শায়ানসি, প্রাচীন সিল্ক রোডের শুরুতে অবস্থিত। এখানে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে, আমি পাহাড়ে উটের ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পাই এবং দেখতে পাই মরুভূমির নির্জন এলাকায় ধোঁয়া উড়ছে। এসব আমার কাছে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ মনে হয়।"

শায়ানসি হল সি চিন পিং-এর জন্মস্থান, যেখানে তিনি বহু বছর ধরে কাজ করেছেন এবং বসবাস করেছেন। গত শতাব্দীর ৬০ এর দশকের শেষ দিকে, সি চিন পিং শায়ানসি প্রদেশের ইয়ানআনের লিয়াংজিয়াহ্য নামে একটি ছোট গ্রামে কৃষক হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং সেখানে সাত বছর কাটিয়েছিলেন। তিনি তার পরিবার থেকে দূরে থাকতেন এবং একটি গুহায় শুতেন, ভেড়া পালতেন, খড় কাটতেন ও কয়লা তুলতেন। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে, লিয়াংজিয়াহ্য ত্যাগ করার আগে, সি চিন পিং গ্রামবাসীদের বলেছিলেন: "আমি এখান থেকে রওনা দেবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য শহরে ফিরে যাব। লিয়াংজিয়াহ্য আমাকে যা দিয়েছে তা আমি কখনই ভুলবো না।"

৩০ বছরেরও বেশি সময় পরে, ২০১৩ সালে সি চিন পিং দেশের শীর্ষনেতা হন। সেই বছর কোস্টারিকা সফর করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি একজন কৃষকের বাড়িতে যান, তিনি বিশেষভাবে লিয়াংচিয়াহ্য-এর একজন কৃষক হিসাবে তার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। কোস্টারিকার কৃষকের ছেলে বলেন, খুব কম দেশের নেতাই কৃষকের অভিজ্ঞতার জন্য গর্ব বোধ করেন। অন্য নেতারা নিজের এমন অভিজ্ঞতা কখনও উল্লেখ করবেন না।

চীনের হ্য পেই প্রদেশের চেংতিং জেলাও সেই "হোমটাউন" যা সি চিন পিং খুব মিস করেন।

১৯৮২ সালের বসন্তে, সি চিন পিং স্বেচ্ছায় বেইজিংয়ের উচ্চতর অবস্থা ছেড়ে দেন এবং চেংতিং জেলায় কাজ করতে যান, যা সেই সময় তুলনামূলক দরিদ্র এলাকা ছিল। পরবর্তী তিন বছরের এক হাজারেরও বেশি দিন ও রাতে তিনি চেংতিং-এ অনেক অগ্রগামী কাজ করেন এবং চেংতিং জেলার "শীর্ষনেতা" – সিপিসির শাখা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

সি চিন পিং একটি নিবন্ধে লিখেছেন: "চেংতিং আমার দ্বিতীয় জন্মস্থান। এর একটি দীর্ঘ ইতিহাস, চমৎকার সংস্কৃতি এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষ রয়েছে। আমি আমার জন্মস্থানকে ভালোবাসি।"

অনেক প্রাচীন চীনা কবিতায় চাঁদ দিয়ে জন্মস্থান, পরিবার এবং দেশ সম্পর্কে অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, "মাথা তুলে উজ্জ্বল চাঁদের দিকে তাকান এবং মাথা নিচু করে জন্মস্থানকে মনে পড়বে।" উজ্জ্বল চাঁদ সমুদ্রে হাজির হয় এবং আমরা পৃথিবীর ভিন্ন জায়গায় থাকলেও এই মুহূর্তটি শেয়ার করি।"

সি চিন পিংয়ের নিজের ভাষায়, "আমি চেংতিং-এ শুধু তিন বছরের কিছু বেশি সময় ধরে আছি, সেই তিন বছর অসাধারণ ও বিশেষ।" কেন "অসাধারণ"? তার কারণ হল, তিনি তার আবেগকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করেছেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে।

১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের একটি বৃহৎ দেশ শাসন করে, সি চিন পিং, "হলুদ জমির পুত্র", সবার জন্য একটি উন্নত জীবনের জন্য একটি অবিরাম সাধনা করছেন এবং বাড়ি ও দেশের জন্য তিনি সবসময় চিন্তা করছেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn